দেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনর, চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা জালাল উদ্দীন আলকাদেরীর দু দফা নামাজে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ সোমবার বাদ জোহর মহানগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাযার নামাজে ইমামতি করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা হাফেজ মোহাম্মদ সোলাইমান আনসারী। তার জানাজায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। লোক লোকারণ্য হয়ে উঠে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠ এবং পুরো এলাকায়।
নগরীর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত মানুষ জানাজায় অংশ নেন। এ কারণে নগর জুড়ে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়।
মরহুমের জানাজায় চট্টগ্রামে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো.মনজুর আলম, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইছহাক মিয়া, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামমুল আরেফিন, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, চবি ভিসি ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী সিডিএ’র চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা অংশ গ্রহন করেন। চট্টগ্রামের নানা পেশা ও নানান মতের মানুষের ঢল নামে জানাযায়।
এর আগে রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া তৈয়বিয়া মাদ্রামা মাঠে প্রথম এবং বাদে আছর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ জোহর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে তৃতীয় জানাজা এবং বাদ আসর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটে ৬৭ বছর বয়সে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। জালাল উদ্দীনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার ছনহারা গ্রামে। মৃত্যুকালে দুই ছেলে পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।