দলে নেই লিওনেল মেসি-অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া-সার্জিও আগুয়েরোর মতো বড় তারকা। তবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে স্কোরলাইন দেখে মোটেও তা মনে হবে না। প্রতিপক্ষের জালে রীতিমতো গোলোৎসব করেছে আর্জেন্টিনা। গুনে গুনে হাফ ডজন গোল করেছেন আকাশি নীল-সাদা জার্সিধারীরা। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৬-১ ব্যবধানে জিতেছেন তারা।
রোববার এস্তাদিও ম্যানুয়েল মার্তিনেজ ভালেরো স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই ইকুয়েডরকে চাপে রাখে আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ শিবিরে আক্রমণের ঝড় তোলেন তারা। সূচনালগ্নেই সাফল্য পেয়ে যান আলবিসেলেস্তেরা। ২০ মিনিটে মার্কোস অ্যাকুইনার পাস থেকে দলকে লিড এনে দেন লুকাস আলারিও। ব্যবধান বাড়তেও সময় লাগেনি। ২৭ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে ইকুয়েডর। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন হায়রো স্প্রিনোজা।
স্বভাবতই আর্জেন্টিনার আক্রমণ রুখতে ব্যতিব্যস্ত থাকে ইকুয়েডর। সেই তোড় সামলাতে না পেরে পরক্ষণে ফাউল করে বসেন তারা। ফলে ৩২ মিনিটে পেনাল্টি পান দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সফল স্পট কিকে ব্যবধান ৩-০ করেন লিয়ান্দ্রো পেরেদেস। প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও আক্রমণের গতি সচল থাকে তাদের। এ অর্ধে আরও ৩ গোল দেয় লাতিন ফুটবল পরাশক্তিরা। ৬৬ মিনিটে দলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন জার্মান পেজ্জেল্লা। ৮২ মিনিটে আবারও তাদের আনন্দ-উৎসবে ভাসান নিকোলাস ডমিঙ্গোয়েজ। এর চার মিনিট পর ইকুয়েডরের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন লুকাস ওকোম্পাস। এর মাঝে একটি গোল পরিশোধ করেন অ্যাঞ্জেল মেনা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।