উখিয়ার ইনানীতে চাঁদার দাবীতে নিজ মালিকানাধীন জায়গার বাউন্ডারী ও জায়গার পাহারা ঘর ভেঙ্গে চুরমার করল সন্তাসীরা। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে ওই জমির আম মোক্তার নামা মুলে দায়িত্বরত ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান বাদী হয়ে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে আজিজুল হক ২৪ শতক জমি ক্রয় করে। ওই জমিতে চারিপাশে বাউ-ারী ওয়াল ও পাহারা ঘর রয়েছে। ইনানী এলাকায় এসে বাইরের কোন লোক জমি ক্রয় করে স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে একই এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপ লিডার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে নুরুল হক প্রকাশ ককটেল মলই নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী গ্রুপকে চাঁদা দিতে হয়। তারই ধারাবাহিতকায় দীর্ঘদিন ধরে আজিজুল হকের জয়গায় চাঁদা দাবী করে উক্ত ককটেল মলই। গত ৩এপ্রিল বিকাল ৪টার দিকে উক্ত ককটেল মলই তার দলবল নিয়ে ওই জাায়গায় চাঁদার জন্য যায়। ওই সময় ওই জায়গায় অবস্থানরত লোকজন কোন ধরণের চাঁদা দিতে পারবেনা বলে জানিয়ে দিলে সন্ত্রাসীরা হুমকী দিয়ে বলে ৩ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে কোন ধরণের কাজ করা যাবেনা। যদি আমাদের কথা কানে না যায় তাহলে সকলকে জানে মেরে ফেলা হবে। প্রতিবারেই চাঁদা দিতে অপারগতা জানায় ওই জায়গার রক্ষানাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা সোনার পাড়ার মৃত ফজল করিমের ছেলে মোক্তার আহমদ। কিন্তু বারবারই চাঁদার দাবীতে অটল থাকে সন্ত্রাসীরা। তারা নিয়মিত হুমকী দিতে থাকে মালিক পক্ষের লোকজনকে। ঠিক গতকাল শনিবার ভোরে একটি ঘটনা ঘটায় সন্ত্রাসীরা। ককটেল মলইর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওই জায়গায় ঢুকে প্রথমে টাকার কথা বলে। কিন্তু টাকা নেই কথাটি বলার সাথে সাথে এলোপাতাড়ী মারধর করে ওই জায়গার মুল পাহারাদার মোক্তার আহমদকে। এতে তার অপরাপর পাহারাদার মো: রিদুয়ান, সালাহ উদ্দিন, নুরুল আমিন রুবেল, মো: হোছাইন এগিয়ে এলে তাদেরও রেহায় দেয়নি সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় গুরুতর আহত হয় মোক্তার ও রিদুয়ান। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের পিঠিয়ে সন্ত্রাসীরা কান্ত না হয়ে উক্ত জায়গার বাউ-ারী ওয়াল ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। পরে খবর পেয়ে আম মোক্তার নামা মুলে দায়িত্ব প্রাপ্ত মালিক রতœাপালং ইউনিয়নের মো: ছৈয়দ আলমের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান ঘটনাস্থলে এসে আশপাশের লোকজনের কাছে ঘটনা জেনে উখিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এতে ককটেল মলইসহ মোট সাতজনকে আসামী করা হয়। এব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, ইনানীতে জমি দখলের ঘটনায় একটি এজাহার দেয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।