২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে টিসিবি পণ্য জব্দ, তিন ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড   ●  নূরসানা মোর্শেদ পিউলির ঘরে অন্যরকম আনন্দ   ●  রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন উখিয়ার বীর মুক্তিযুদ্ধা আবুল খায়েরের   ●  “নূরসানা মোর্শেদ পিউলির বৃত্তি লাভ”   ●  এসপি হলেন সীমান্ত উপজেলার বাহারছড়ার সন্তান মোঃ সাইফুল্লাহ   ●  “হাসিঘর ফাউন্ডেশন’র শীত উৎসব উদযাপিত হয়েছে   ●  ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় ক্ষমতা হারালেন ৩ ইউপি চেয়ারম্যান   ●  উখিয়ায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে   ●  অপহরণের ৯ ঘন্টা পর অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার স্কুলছাত্র   ●  শাহপরীর দ্বীপে ‘পর্যটন স্পট’ গড়তে চায় সরকার, পরিদর্শনে পর্যটন উপদেষ্টা

ইমরুল কায়েস কক্সবাজারের সাহসী সাংবাদিক – কাজী আবদুল্লাহ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আমার ঘোরাঘুরি অনেক আগে থেকেই। সেখানে একজন মানুষকে জানা যতোটা সহজ ঠিক ততোটাই কঠিন। কিন্তু আমার মতে, ফেইসবুক এমন একটি জায়গা যেখানে একজন মানুষের ভেতর পর্যন্ত জানা সম্ভব শুধুমাত্র তার লেখা পড়ে !

ফেইসবুকে নিয়মিত আছি প্রায় ছয় বছর হল। এই সময়ের মাঝে অনেক ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি, এদের একজন হলেন যমুনা টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ইমরুল কায়েস ভাই।

ইমরুল ভাইয়ের সাথে আমার প্রায় ৩ বছর আগে ফেইসবুকে পরিচয় । ওনার মাদক নিয়ে একটা স্ট্যাটাস আমার ফেইসবুকক একাউন্ডে থাকা কোন একজন শেয়ার করেছিল(যিনি শেয়ার করেছিলেন তার নাম এখন মনে শিওর মনে পড়তে না বলে দুঃখিত)। সেই স্ট্যাটাস নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা ও তখন হয়েছিল। সেখান থেকেই শুরু। এরপর ভাইয়ার ফেইসবুকে ডুকে অনেক স্ট্যাটাস পড়েছিলাম। যতোই পড়তাম ততোই মুগ্ধ হতাম।

এরপর অনেক সময় কেটে গেলো। এই মানুষটার সাথে সম্পর্ক কেমন সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু মনে হয় আত্মীয়তার সার্বজনীন সংজ্ঞায় ভুল আছে ! আত্মার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে কেবল তাকেই আত্মীয় বলা উচিৎ। আমার অনেক খারাপ সময়ে তিনি আমার পাশে ছিলেন। সব সময় বড় ভাইয়ের মতো সাহস যুগিয়েছেন, উপদেশ, আদেশ, নিষেধ, পরামর্শ দিয়েছেন-দিচ্ছেন। আমি তাকে আমার নিজের আপন বড় ভাইয়ের মতো ট্রিট করি সব সময়।

ইমরুল কায়েস ভাই সম্পর্কে দুটো চিরসত্য কথাঃ
০১. মানুষটা অন্যায়ের সাথে আপোষহীন।
০২. নিরহংকার প্রকৃতির মানুষ।

#বছরখানেক আগে রোহিঙ্গারা তাদের দেশ থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজার অবস্থান করলে দেশ-বিদেশের অনেক এন,জি,ও তাদের মৌলিক অধিকারের ব্যবস্থা করার জন্য কক্সবাজার এসেছিল।এসে তারা কক্সবাজার এর ছেলে-মেয়েদেরকে চাকরিতে নিয়োগ না দিয়ে বিভিন্ন জেলার ছেলে-মেয়েদের নিয়োগ দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল।তখন কক্সবাজারের ছেলে-মেয়েরা অনেক বড় বড় পোষ্টধারী ছাত্রনেতা ও জননেতাদের দিকে থাকিয়ে থেকেছিল।কিন্তু তারা তখন ঘুমে ছিলেন। অপরদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে এই ইমরুল কায়েস ভাই মানববন্ধন,অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন।ইমরুল কায়েস ভাই এর এই আন্দোলনের ফলস্বরূপ জেলা প্রশাসন কর্তৃক গত মাসের ০৪ তারিখ চাকরির মেলা আয়োজন করার যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করার পরেরে হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা স্থগিত হয়েছিল।আশা রাখব, ইমরুল কায়েস ভাই আপনি আবারো দ্রুত জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে চকরির মেলার আয়োজন করে কক্সবাজার জেলার শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করবেন।

পরিশেষে আবারো আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুভ জন্মদিন প্রিয় কায়স ভাই । শুভ হোক আপনার ভবিষ্যৎ দিনগুলি। আনন্দের মাঝেই শেষ হোক প্রতিটি মুহূর্ত। রাঙ্গা আলোয় আলোকিত হোক আপনার প্রতিটি ক্ষণ।

লেখক- কাজী আব্দুল্লাহ,
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,
ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা শাখা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।