কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর জুমনগর এলাকায় এককিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্ত হামলা মা ও মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত মা ও মেয়েকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, ইসলামপুর জুমনগর এলাকার বজল আহম্মদের স্ত্রী ছৈয়দা বেগম (৩৬) সন্তানদের বাড়ীতে রেখে গত কয়েকদিন আগে ঢাকায় যান স্বামীর কাছে। বাড়ীতে মা’র অনুপস্থিতির সুযোগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় আবদুল করিমের বখাটে ছেলে এহেসান মিয়া (২০) বাড়ীর ভিতর ডুকে কিশোরী শাহেদা বেগম (১৪)কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড় দেয়। ওই সময় তার মা ছৈয়দ বেগম বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে বখাটে এহেসানের এ অবস্থা দেখে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য গেলেই তার উপর চড়াও হয় ওই এহেসান। তাৎক্ষনিক ভাবে অপরাধের গডফাদার ইসলামপুর ধর্মের ছড়ার আলী হোছনের ছেলে মনজুর আলমের প্রত্যক্ষ ইন্দনে বখাটে এহেসানের ভাই রমজান, আবদুল মজিদ, নতুনবাহার, নুরজাহানসহ অন্যান্যরা এসে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপায় ও হাতুড়ী দিয়ে মা ও মেয়েকে বেধড়ক পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। আহতরা বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত গৃহবধু ছৈয়দা বেগম জানান, ইতোপূর্বেও দুর্বৃত্তরা তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। এঘটনায় মামলাও দায়ের করা হয় থানায়। গত ৩০ এপ্রিল রাতে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী মজিদ, এহেসান, রমজান,লোকুম বাহার, নুরজাহান জসিম উদ্দিন ও নাছিরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করেন।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারের পর তারা ১ মে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তাকে হত্যাসহ স্কুল পড়–য়া ছেলে মেয়েকে অপহরণ করার হুমকি অব্যাহত রাখায় তাদের গডফাদার মনজুর আলমকে প্রধান করে ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ৪ মে কক্সবাজার সদর থানার (জিডি নং-১৮৪) দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এঘটনাটি সংগঠিত করেছে।
নির্যাতিত এই নারী আরও জানিয়েছেন, আহত মা ও মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগে ওই দুবৃত্তরা শুক্রবার বিকালে দ্বিতীয় দফা হামলা করে বাড়ী মুল্যবান মালামাল লুট করেছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।