কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও, রামুর ঈদগড় ও নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী যাতায়াত সড়কটি বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন ও যাত্রী সাধারণ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সদরের কিছু অংশ সম্প্রতি সংস্কারের কাজ করা হলেও বড়টিলার পূর্ব অংশ পানের ছড়া নামক স্থানে নদী ঘেঁষা যাতায়াত সড়কটি চলাচলে অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কের বাবুল কোম্পানীর ব্রিক ফিল্ডের পশ্চিম পাশের্^ বর্তমানে ব্রীজের কাজ চললেও বাইরোড করে দেওয়া রাস্তাটি চলাচল উপযোগী নয়। প্রতিদিন ঐ বাইরোড দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে কর্দমাক্ত মাটি ও গর্তে আটকা পড়ে। রামুর ঈদগড় অংশের মোক্তারের দোকান থেকে শুরু করে উপরের দোকান, ধুমছা কাটা, পশ্চিম পাড়া, ঈদগড়ের প্রধান বাজার, পানিস্যা ঘোনা, গলাছিড়া, ছগিরা কাটা, ব্যাংঢেবাসহ নাইক্ষ্যংছড়িরর ঝুইন্যারমার ঝিরি মুখে ব্যাপক গর্তে ও ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে যাত্রী সাধারণের পাশাপাশি গাড়ী চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ব্যাপক সাড়া জাগলেও বর্তমানে এ এলাকার সড়কগুলো তেমন সংস্কারের অগ্রগতি নেই। মাঝেমধ্যে দেখা যায়, সরকারী পর্যায়ে কোন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আসার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঈদগাঁও-বাইশারী এলাকার দুয়েকজন জনপ্রতিনিধি নামে মাত্র বালি ও ইটের খোঁয়া দিয়ে কিছু কিছু গর্তের ভরাটের দৃশ্য। প্রায় ১৮ কিলোমিটার ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারণ ও ব্যাপক যানবাহন চলাচল করলেও রাস্তার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত সড়কটির প্রতি রয়েছে বিমাতাসূলভ আচরণ। নির্বাচন আসলেই কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি ঢাকঢোল পিটিয়ে উন্নয়নের সেঞ্চুরী করার ঘোষণা দিলেও নির্বাচন পরবর্তী কথাগুলো ভেস্তে যায়।
ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো সম্প্রতি একটি মিথ্যা হত্যা মামলায় কারাভোগ করলে এলাকার উন্নয়ন স্থিমিত হয়ে পড়ে বলে বেশ কয়েকজন এলাকার মুরব্বী ও ভূক্তভোগীরা জানান। নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী অংশের বিষয় নিয়ে ২৪ নভেম্বর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে ঈদগড় বাজার থেকে বাইশারী বাজার পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ১২ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে বলে জানান। যা আগামী ২৯ নভেম্বর লটারীর মাধ্যমে উক্ত কাজ কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করবে তা নির্ধারণ হবে। ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী ইউনিয়নে এ সড়কটি অতিসত্তর উন্নয়ন করা আবশ্যক। অতঃপর উন্নয়ন হলে ইউনিয়নের রাবার শিল্প, ব্যাংক, পুলিশ ফাঁড়ি, স্কুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান আরো উন্নয়ন সাধিত হবে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উন্নয়ন কাজ তড়িত গতিতে আরম্ভ করার জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।