আতিকুর রহমান মানিকঃ কক্সবাজার সদরের “বৃহত্তর ঈদগাঁহ ঘটক সমবায় সমিতি”র নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে টানা ২য় বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সিনিয়র ঘটক অাবদু শুক্কুর। নতুন কমিটিতে সহ সভাপতি রহমত ছালাম, সেক্রেটারী বশির আহমদ ও প্রচার সম্পাদক পদে কবির আহমদ মনোনীত হন। এ ছাড়াও সমিতির উপদেষ্টা হিসাবে সিরাজ মেম্বার, আরিফ সওদাগর, মৌঃ ছলিম উল্লাহ, মৌঃ নাছির উদ্দীন ও বাবু সঞ্জয় ধরকে মনোনীত করা হয়।
বৃহত্তর ঈদগাঁও’র সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত ৩২ জন বিয়ের ঘটক উক্ত সমিতির নির্বাহী সদস্য হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। ২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বাজারের অভিজাত এক রেষ্টুরেন্টে ঘটকদের উপস্হিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উক্ত সমিতির কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। পুনরায় নির্বাচিত সভাপতি ঘটক আবদু শুক্কুর এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিটি বিয়েতে কাপড়, স্বর্নালংকার, ফার্ণিচার-ফ্রীজ, পরিবহন, খাওয়া-দাওয়া, ক্লাব ভাড়া ও কাবিন নামা সম্পাদনসহ ইত্যাদি ব্যাপারে কমপক্ষে ৫/১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এসব থেকে সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমান রাজস্ব আয় করে। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন বিয়ের ঘটক সম্প্রদায়। বৃহত্তর ঈদগাঁওতে অন্যসব পেশাজীবিদের সংগঠন থাকলেও ঘটকদের কোন সংগঠন ছিলনা। তাই এক বছর আগে উক্ত সমিতি গঠন করা হয়েছিল। সমিতি নিবন্ধনের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে উপস্হিত ঘটকরা জানান, এজন্য সমিতির গঠনতন্ত্র প্রনয়ন করা হচ্ছে। সমিতির সদস্য ঘটকদের দ্বারা সংগঠিত প্রতিটি বিয়ের জন্য সমিতিতে ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় ও বিয়ের মেজবান-ওলিমায় সমিতির সদস্য ঘটকদের দাওয়াত বাধ্যতামূলক করা, কোন সদস্য অন্যায়-লাঞ্চনার শিকার হলে সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করা, সমিতির সদস্য ঘটকদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান, পাত্র-পাত্রী উভয় পক্ষে থেকে যুগোপযোগী হারে “ঘটক ফিস” আদায় করা ও অানুসাঙ্গিক আরো অন্যান্য বিষয় গঠনতন্ত্রে আওতাভুক্ত করা হবে বলেও জানান তারা। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঘটকালীকে ডিজিটালাইজেশন ও প্রযুক্তিমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সভাপতি বলেন, প্রত্যেক ঘটককে স্মার্টফোন ব্যাবহার করতে হবে, পাত্র-পাত্রীর ছবি এতে সেভ করা থাকবে ও নিজস্ব ই-মেইল, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটস আ্যাপ আইডি থাকতে হবে। এছাড়া বাইরের অন্য এলাকার কোন ঘটক বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকায় ঘটকালী করলে প্রতিটি বিয়ের জন্য সমিতিতে এক হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। একজনের টার্গেটকৃত পাত্র-পাত্রী বা বিয়েতে অন্য ঘটক হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেয়ার বিষয়েও সভায় আলোচনা করা হয়। এ ছাড়াও প্রতিবছর বার্ষিক ঘটক সামবেশ ও কাজীদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে বলেও জানান সেক্রেটারী বশির আহমদ। বৃহত্তর ঈদগাঁও ঘটক সমবায় সমিতির ব্যাপারে জালালাবাদ ইউনিয়নের নিক্বাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার (কাজী) মৌলানা মুহিব্বুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন খাটা-খাটনি ও দৌড়াদৌড়ি করে একটা বিয়ে সংগঠিত করে দেয়ার পর অনেক সময় ঘটকরা ন্যায্য পারিশ্রমিক পায়না। তাই সমিতি গঠন একটা ভাল উদ্যোগ, এর ফলে ঘটকদের অধিকার আদায় সহজতর হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।