২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

ঈদগাঁওতে ইটভাটায় দেদারছে পুড়ছে কাঠ

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের সবকটি ইটভাটিতে হরদম পুড়ছে বনের কাঠ ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগ্ড় ও ঈদগাঁও রেঞ্জের আওতাধীন বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে এক শ্রেণির কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে দিনে ও রাতে ইটভাটিতে পাচার করছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঈদগড় ও ঈদগাঁও এলাকার অবৈধ কাঠ পাচারের সদস্যরা প্রতিনিয়ত সামাজিক বনায়ন থেকে মূল্যবান গামারি, আকাশমণি ও গর্জন গাছ কেটে পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও বাজারের অবৈধ স’মিলে নিয়ে চিরাই করে এক শ্রেনির অসাধু এবং পরিবেশ বিধ্বংসী বন কর্তাদের ম্যানেজ করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে। কাঞ্চনমালা সড়ক, ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক এবং ঈদগাঁও কালির ছড়া বিট অফিসের পার্শ্ববর্তী হামির পাড়ার রাস্তা দিয়ে বেশির ভাগ কাঠ ঈদগাঁও এর বিভিন্ন স,মিল ও ইটভাটায় পাচার হয় বলে জানান স্থানীয়রা। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে প্রতিনিয়ত সংঘবদ্ধ গাছ খেকোরা সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করে দিলেও নির্বিকার বনরক্ষকরা। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছুদিন কাঠ পাচার বন্ধ থাকলেও বর্তমানে প্রতিদিন ভোর রাতে ভোমরিয়াঘোনা অফিস সংলগ্ন বাঁশকল দিয়ে এবং কালিরছড়া বিট অফিসের আওতাধীন ধলিরছড়া হামিরপাড়ার রাস্তা দিয়ে এবং কাঞ্চনমালা সড়ক দিয়ে কাঠ পাচার অব্যাহত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে গেছে, জালালাবাদের জনবসতি এলাকায় টিকে ব্রিক্স ও জেডএমবি ব্রিক্স, ইসলামাবাদে তাজ ব্রিক্স, দীবা ব্রিকস,ঈদগাঁওয়ে আরএমএম ব্রিকস, আরকেসি ব্রিকস, এমকে ব্রিকস,চৌফলদন্ডীতে আরকে সি-২সহ সবকটি ইটভাটিতে দেদারছে পুড়ছে বনের কাঠ। তন্মধ্যে কয়েকটি ইটভাটার মালিক নিজেদের ব্রিকসগুলো ঝিঁকঝাক পদ্ধতির বলে দাবী করলেও ভিতরের চিত্র সম্পুর্ণ ভিন্ন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তথাকথিত ঝিঁকঝাক ইটভাটায়ও ঝিঁকঝাকভাবেই রাতদিন পুড়ানো হচ্ছে রকমারি প্রজাতির বনজকাঠ। অন্যদিকে স,মিল মালিক সিন্ডিকেট স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বনকর্তাদের মাসিক মাসোহারা দিয়ে ঈদগাঁও বাজারে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ব্যবসা। এছাড়া বঙ্কিম বাজার সংলগ্ন স’মিলের সামনে ডিসি সড়কের উপর কাঠের স্তুপ করে রাস্তা দখল করে যান ও জন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করার অভিযোগ পার্শ্ববর্তী দোকানদার ও গাড়ি চালকদের।
এ বিষয়ে মেহেরঘোনা রেঞ্জ অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান। অন্যদিকে কালিরছড়া বিট কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে গাছ পাচারের বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও রেঞ্জ অফিসার ভাল জানবেন বলে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।
সূত্রে জানা যায়, ঈদগাঁও মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা আতা এলাহী ও কালিরছড়া বিট অফিসে নতুন বিট অফিসার যোগদানের পর থেকে মেহেরঘোনা ও কালিরছড়া আওতাধীন বনভুমিতে ভাঙ্গা-গড়া,দখল-বেদখল বেড়েই চলেছে। তাই এলাকাবাসীর অভিমত, কাঠ পাচারকারী, ইটভাটার মালিক, অবৈধ স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে সাবাড় হয়ে যাবে সামাজিক বনায়ন, ধ্বংস হবে পরিবেশ ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।