কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন হতে আরো প্রায় দেড় মাসের অধিক বাকী। নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ এর ঘোষণা মতে আগামী ২৮ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এলাকা বিভাজন সংক্রান্ত গেজেটও প্রকাশিত হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই। চেয়ারম্যান এবং সদস্য পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারী দল আওয়ামীলীগে এ নির্বাচন নিয়ে যেমন উৎসাহ দেখা যাচ্ছে, অন্য কোন দলে তেমনটা নয়। বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকা থেকে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সরকারী দলের একাধিক নেতা এবং বিরোধী দলের এক নেতার নামও রয়েছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে ঐ ৩ জনের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, নির্বাচনের জন্য তারা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নির্বাচন নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ না থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মধ্যে তপশীল ঘোষণার আগেই শুরু হয়েছে হিসেব নিকেশ ও পালা।
সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে জেলা পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, জালালাবাদ এবং পোকখালী। এ ওয়ার্ড থেকে একজন নির্বাচিত সদস্য জেলা পরিষদের সদস্য পদে স্থান পাবেন। তবে সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড সমূহের পরিসর আরো বড় বলে সূত্রটি জানিয়েছে। জেলার সার্বিক উন্নয়নে জেলা পরিষদের ইতিবাচক ভুমিকা থাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পরিষদ উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বৃহত্তর ঈদগাঁওতে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঈদগাঁও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, বৃহত্তর ঈদগাঁও পাবলিক লাইব্রেরী, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা গেইট এবং ঈদগাঁও বাসস্টেশনে যাত্রী ছাউনি নির্বাচন। দৃশ্যমান এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অর্থায়ন জেলা পরিষদই করেছে। এছাড়া প্রত্যন্ত এলাকার যোগাযোগ অবকাঠামো তথা রাস্তাঘাট নির্মাণে এ পরিষদের ভূমিকা রয়েছে। সংগত কারণে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরা এ নির্বাচনে ঝুঁকে পড়েছেন। উক্ত ৯নং ওয়ার্ড থেকে জেলা পরিষদের সদস্য পদে এ পর্যন্ত ৩ জনের নাম শোনা যাচ্ছে ঈদগাঁওতে। তারা হচ্ছেন ঈদগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম লুতু মিয়ার পুত্র সোহেল জাহান চৌধুরী, ঈদগাঁও আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, উদীয়মান তরুণ শিল্পপতি, রাবার বাগান সত্বাধিকারী আলহাজ¦ মনজুরুল হক চৌধুরী এবং ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক, ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য, বিশিষ্ট সংগঠক ও জালালাবাদ লরাবাগের শওকত আলম। এক প্রশ্নের জবাবে জাগির পাড়ার কৃতি সন্তান সোহেল জাহান চৌধুরী জানান, জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি বৃহত্তর ঈদগাঁওর উন্নয়নে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চান। যোগাযোগ করা হলে মাইজ পাড়ার প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মনজুরুল হক চৌধুরী জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা চাইলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। বিএনপি নেতা শওকত আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি দলীয়ভাবে নয়, ব্যক্তিগত ভাবে এ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে জানান। উল্লেখ্য, ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আরো উল্লেখ্য, ৯নং ওয়ার্ডের আওতাভূক্ত বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৫টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যা এবং সাধারণ আসনের পুরুষ সদস্যসহ সর্বমোট ৬৫ জন এ ওয়ার্ডের ভোটার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।