বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামপুরে পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে। সমতল করে ফেলা হচ্ছে অনেক উঁচু পাহাড়, বনভূমি। শক্তিশালী সিন্ডিকেটের হাত ধরে পরিবেশ বিধ্বংসী এ কাজ চলছে বেপরোয়াভাবে। অভিযান ও জরিমানা তোয়াক্কা করছে না পাহাড় খেকোরা।
পাহাড় কাটার অভিযোগে মোঃ শরীফ কোম্পানি নামের ব্যক্তিকে ২৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা আগামী ১ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। মোঃ শরীফ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নাপিতখালী এলাকার মরহুম আবদুল গনির ছেলে।
গত ২৮ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে এনফোর্সমেন্ট মামলা নং-৫৫০/২১-৪১৪১ শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়। গত ২২ জানুয়ারি ঘটনাটি প্রকাশ পায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক (উপসচিব) মুফিদুল আলম।
তিনি জানান, অবৈধভাবে ৫২,৫০০ ঘনফুট পাহাড় কেটে পরিবেশের ক্ষতি করেছেন মোঃ শরীফ কোম্পানি নামক ব্যক্তি। তিনি পাহাড় কর্তন ও বালু উত্তোলনের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। পরিবেশ বিনষ্ট করে চলেছেন। এমতাবস্থায় পরিবেশের ক্ষতি বাবদ তাকে ২৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শরীফ কোম্পানীকে সতর্কও করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক (উপসচিব) মুফিদুল আলম।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর ১২ লক্ষ ঘনফুট পাহাড় কাটার দায়ে ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম, তার ভাই মোঃ শরীফের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরিফ কোম্পানী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ক্ষমতাসীন ২০\২৫ জন সদস্য বিশিষ্ট সোনালী এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে বন বিভাগের জায়গা দখল, পাহাড় কাটা, অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, রির্জাভ জায়গা দখল করে আসছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগ পাওয়ায় কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ নাপিতখালী পাহাড় পরিদর্শন করে ৫২,৫০০ ঘনফুট মাটি কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে শুনানিতে হাজির হতে মোঃ শরিফ কোম্পানীকে নোটিশ দেওয়া হয়।
অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোঃ শরীফ কোম্পানী বলেন, জরিমানার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে আজকেই শুনলাম।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।