কক্সবাজার সদরের জনগুরুত্বপূর্ণ ঈদগাঁও সরকারী হাসপাতাল সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতে গোড়ালি পানিতে সয়লাব হয়ে উঠে। এতে রোগীসহ সর্বসাধারণের হাসপাতালে যাতায়াত ও চলাচলে মারাত্মক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রোডের সাথে সমন্বয় না করলে ভবিষ্যতে এ সড়কটি বাজারবাসীর কোন উপকারে আসবে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁওর সরকারী স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের গেইট সংলগ্ন সরকারী পুরনো হাসপাতাল সড়কটির নাজুক অবস্থা। পুরো সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গোড়ালি পরিমাণ পানিতে সয়লাব হয়ে উঠেছে এটি। রাস্তাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে শুরু হয়ে শহীদ জয়নাল আবেদীন সড়কে গিয়ে মিশে গেছে। অতীতে এ সড়কটি ছিল ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক। ডিসি রোড নির্মিত হওয়ায় এর গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত কমে গেলেও এখনো শত শত লোকজন উক্ত সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করেন। যান চলাচল তো রয়েছে।
দেখা গেছে, প্রধান সড়কের ভূমি অফিস থেকে বাজারের কেন্দ্রীয় কালিবাড়ী গেইট পর্যন্ত এর অবস্থা অত্যন্ত বেগতিক। স্থানীয় ফার্মেসীর মালিক এম. নুরুল হুদা ফরাজী জানান, অল্প বৃষ্টি হলেই এ সড়কটি পানির নিচে চলে যায়। পাশর্^বর্তী অন্য সড়ক উঁচু করে ফেলায় এ সড়কটি নিচু হয়ে গেছে। তাই নির্মাণাধীন ডিসি সড়কের সাথে এর সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। জামান মেডিকোর সত্ত্বাধিকারী জিল্লুল এহেছান বুলু বলেন, সড়কে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। তাই পানি জমলেই পথচারীদের পোহাতে হয় দূর্ভোগ। নূরী ফার্মেসীর মালিক ডা. আলহাজ¦ সিরাজুল মোস্তফা নূরী বলেন, স্থানীয় সরকারী এ হাসপাতালে দূর-দূরান্তের শত শত রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। হাসপাতালের সম্মুখস্থ এ সড়কটির তথৈবচ অবস্থায় তাদের দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। চাল দোকানী শামসুল আলম জানান, একসময় ঈদগাঁও বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য একচেটিয়া এ সড়ক কেন্দ্রিক ছিল। প্রায় সময় সরগরম থাকতো এটি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সড়কটি যেন এখন ঐতিহ্য হারাতে চলেছে। মেসার্স মমতাজ স্টোর সত্ত্বাধিকারী নুরুর রহিম জানালেন, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ধ্বস নেমেছে। জনগণকে পোহাতে হচ্ছে তীব্র যন্ত্রণা।
বিষয়টির ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আবুল বশরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মেডিকেল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানার পরামর্শ দেন। জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির মেডিকেল অফিসার ডা. তৃণা সাহা জানান, জলবদ্ধতার কারণে তিনি নিজেও একজন ভূক্তভোগী। দরিদ্র রোগীদের স্বার্থ বিবেচনায় দীর্ঘ ছুটিতে থাকা সত্ত্বেও তিনি গতকাল অফিস করেছেন। এ মেডিকেল কর্মকর্তা জলবদ্ধতায় নিমজ্জিত সড়কটি সরকারী হাসপাতাল এলাকার আওতাধীন নয় জানিয়ে বলেন, অন্য সবার মত আমরাও এ কারণে দূর্ভোগে রয়েছি।
ভূক্তভোগীরা হাসপাতালে আগত রোগী ও সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে অবিলম্বে উক্ত সড়কটি প্রয়োজনীয় পরিমাণ উঁচু করে ডিসি সড়কের সাথে সমন্বয় সাধনের দাবী জানিয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।