২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ঈদগড়ে হাত বাড়ালেই হিরোইন ও ইয়াবা

images
কক্সবাজার রামুর ঈদগড়ে মাদক ব্যবসায়ীদের পাচারকারীরা গ্রাম অঞ্চলের সর্বত্রে ছড়িয়ে দিচ্ছে হিরোইন ও ইয়াবা। ইয়াবা ও হিরোইন মাদক ব্যবসায়ীর পাচারকারীরা ঈদগড়ের করলিয়ামুরা বৌ-ঘাট,আলীক্ষ্যং,মোহাম্মদ শরীফ পাড়া,পূর্ব রাজঘাটা,চরপাড়া,ঘিলাতলী,হাসনাকাটা,গুইন্যাপাড়া,পশ্চিম রাজঘাটা,ঈদগড় বাজার বড় পুকুর পাড় সহ আশ পাশ গ্রাম অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে ইয়াবা ও হিরোইন সহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। হাত বাড়ালেই ইয়াবা ও হিরোইন পাওয়ায় স্কুল-কলেজের যুবকেরাও দিন দিন নেশায় আসক্ত হচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। তাদের নিরাপদ রুট হিসাবে ঈদগড়-বাইশারী রাস্তা ও ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক সহ দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে হিরোইন ও ইয়াবা সহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় জিনিস বর্তমানে এলাকায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। পুলিশের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানে ইতিপূর্বে সড়কের চেকপোষ্ট গুলোতে বাস,মটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশী করে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করলেও ঈদগড়ের প্রকৃত হিরোইন ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক দ্রব্য জব্দ করা হলেও ঈদগড়ে নেই কোন মাদক বন্ধের অভিযান। ফলে দিন দিন মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। বন্ধ হচ্ছেনা মাদকের ঝিকিমিকি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত কিছু যুবনেতা অর্থের যোগান দিয়ে নিজেরাই এ ব্যবসা করছে। স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক ছাত্রনেতা এ প্রতিবেদককে জানান,মাদক একটি সংক্রামক ব্যাধি। এ থেকে মুক্তিপেতে হবে। এ ব্যবসায় যারা বর্তমানে জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই নাম স্থানীয় প্রশাসনের জানা আছে। কিন্তু নির্বিঘেœ তাদের হিরোইন ও ইয়াবা ব্যবসা প্রশাসনের নাকের ডগায় চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীকে প্রশাসনের নীরবতাকে ভাবিয়ে তুলছে। এছাড়া ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল যোগেও এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঐসব যুবনেতারা হিরোইন ও ইয়াবা সেবীদের কাছে নিয়মিত পৌঁছে দিচ্ছে। এলাকার বেশ কয়েকজন ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসায়ী বর্তমানে তাদের নিজস্ব মটর সাইকেল যোগে চরপাড়া এবং বাজার এলাকায় নিয়মিত পৌঁছে দিচ্ছে এমন খবর জানাজানি হলে সম্প্রতি তারা নতুন কৌশল আবিস্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা যায়। ঈদগড়ে হিরোইন ও মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের অবস্থান ও গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য মাসোহারা দিয়ে কতিপয় হতাশাগ্রস্থ যুবকদেরকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মুঠো ফোন দিয়ে পাহারা বসিয়েছে। হিরোইন ও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান কসমেটিক্স দোকান ছাড়া চান্দেরগাড়ি ষ্টেশন,চরপাড়া ব্রীজ সহ আরো বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে হিরোইন ও ইয়াবা বিক্রি করছে। এদের কারণে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা আজ প্রায় ধ্বংসের পথে। ইতিপূর্বে একজন হিরোইন ব্যবসায়ী ধরাপড়লেও অদ্যাবধি আর কোন ব্যবসায়ী ধরা না পড়ায় এলাকার জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। বিশেষ এক সূত্রে জানা যায়,কক্সবাজার রাখাইন পাড়া এবং টেকনাফ থেকে এলাকার হিরোইন ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন নামিদামী গাড়ি ও মটর সাইকেল যোগে প্রতিনিয়ত ঈদগড়ে ইয়াবার চালান আসতে থাকে। ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে ২টি পুলিশ চেকপোষ্ট থাকার পরও চালান গুলো নির্বিঘেœ এলাকায় চলে আসে। এছাড়া ঈদগড়ে রয়েছে ইয়াবা ও হিরোইন পাচারকারীদের বিশাল এক সিন্ডিকেট। তারা ভদ্রতার আড়ালে প্রশাসন সহ এলাকার সর্বস্তরের জনতার চোখকে ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল ঈদগড়ের পরিচিত ইয়াবা ও হিরোইন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। উল্লেখ্য, প্রতিনিতই হিরোইন ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে অনেক জায়গায় হিরোইন সেবন করতে এলাকার লোকজন দেখলেও হিরোইন ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ভয়ে অনেকেই প্রশাসনকে ধরিয়ে দিতে সাহস পাচ্ছেনা বলে জানান এলাকার জনৈক নাপিত। সে আরো জানান, ঈদগড় বাজারস্থ পরিচিত হিরোইন ব্যবসায়ী ও সেবক দোকানের একপাট খোলারেখেই অনেক সময় দোকানের ভিতরে হিরোইন সেবন করে থাকে। গোপনে এসব হিরোইন সেবনকারী ব্যবসায়ীদেরকে তথ্যের ভিত্তিতে আটক করার জন্য পুলিশের প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো সোচ্ছার হতে হবে বলে জানান সচেতন মহল।কৃষক সমাজ। ।
ফাইল ছবি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।