কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা/চাঁদা চাইলে চাঁদাবাজি। কিন্তু ব্যানার দাবী করলে কি বলা যায়? ব্যানারবাজি? হ্যাঁ এই ব্যানারবাজিই হচ্ছে এখন ঈদগাঁওতে। প্যাড ও নামসর্বস্ব ভূইঁফোড় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারবাজি সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এখানে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কয়েকজন মিলে যেনতেন একটা নাম দিয়ে একটি সংগঠন খাড়া করে আবার নিজেদের মধ্যেই সিলেকশন করে কমিটি ঘোষনা করে। এতে কেউ সভাপতি, কেউ সেক্রেটারী, আবার কেউ বা বিশেষ সভাপতি, আপদকালীন সভাপতি, নির্বাহী সভাপতি বনে যায় ও মনগড়া পদ নিয়ে গঠিত এসব কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্যানার দেয়ার জন্য আবার এরা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ধর্না ও ক্ষেত্রবিশেষে চাপ দেয়। এভাবে ‘অভিনন্দন ব্যানার’ ছাপানোর জন্য একপ্রকার বাধ্য করেও টাকা নিয়ে নিজেরাই তলই সাইজের ঢাউস ডিজিটাল পিভিসি ব্যানার ছাপিয়ে বানিয়ে টাঙ্গিয়ে দেয় বাজারের দর্শনীয় বিভিন্ন স্থানে। এসব ব্যানারে কথিত সংগঠনের সদস্যদের নাম-পদবী সম্বলিত কোট-টাই পরা ছবি থাকে। একই সাথে ব্যানার দাতার ছবিও শোভা পায়। “ঈদগাঁহ ছাগল ক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটিকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশিষ্ট বকলম জনাব ছক্কু মিয়া” টাইপের অভিনন্দনবানীও শোভা পায় এসব ব্যানারে। বাজারের ফোরস্টার চত্বর, নিউমার্কেট এলাকা, বাসষ্টেশন ও দক্ষিনে ঈদগাঁও চৌফলদন্ডী জীপষ্টেশনসহ দর্শনীয় বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গিয়ে দেয়া হচ্ছে এসব তলই সাইজের ব্যানার। আত্ম প্রচারের জন্য হরদম শুরু হওয়া এ ব্যানারবাজী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে। তাই আসন্ন ঈদে চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজীর পাশাপাশি আত্মপ্রচারবাজদের ব্যানারবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ভুক্তভোগীরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।