লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গপোসাগরে অবস্থান করছে। তাই মঙ্গলবার (৪ জুন) যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তা আরো তিনদিন থাকবে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আর তেমনটি হলে ঈদের নামাজের জামাত এবং ঈদের ঘোরাঘুরিতে বিঘ্ন ঘটতে পারে সাধারণ মানুষের।
বুধবার (৫ জুন) সূর্যদোয় হবে ভোর ৫টা ১১মিনিটে। প্রাক-মৌসুমের বৃষ্টিপাত সাধারণত শেষরাত বা ভোরের দিকেই বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়া বিকালে এবং রাতের প্রথম অংশেও এ ধরনের বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। তবে সুখবর হচ্ছে- এ সময়ের বৃষ্টি একটানা নয়, থেমে থেমে হয়ে থাকে। আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি) এসব তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে পশ্চিমা লঘুচাপের রেশ না কাটতেই বর্ষা মৌসুম হাজির হচ্ছে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী ৮ জুনের দিকে এর প্রবেশ ঘটতে পারে টেকনাফ উপকূলে। এরপর নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকা হয়ে ধীরে ধীরে সারা দেশে বিস্তৃত হবে। এরপর প্রাক-মৌসুমের মতো আর থেমে থেমে বৃষ্টি হবে না। বর্ষার বৃষ্টির চরিত্র হচ্ছে- যখন হবে একটানা। মুষলধারে। সেই হিসাবে বাড়ি যাওয়ার মতো ফিরতি পথেও সঙ্গী হতে পারে ঝড়-বাদল।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে বাংলাদেশে। আজ চাঁদ না উঠলে সেক্ষেত্রে ৬ জুন ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলছেন, ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড বগুড়ায় ১৩৪ মিলিমিটার। এই সময়ে ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা ৬-৭ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।