বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার পর অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে অনেক রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় আটটি নৌকাসহ অন্তত ১৩০ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।
মঙ্গলবার নাফ নদী ও উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে দিয়ে অনুপ্রবেশ চেষ্টার সময় তাদের ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা।
টেকনাফ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর মো. আবু রাসেল সিদ্দিকী জানান, নাফ নদীর জিম্বংখালী, লেদা ও দমদমিয়া পয়েন্টে শূন্যরেখা অতিক্রম করে আটটি নৌকায় করে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালালে বিজিবির টহল দল তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে।
“প্রতিটি নৌকায় ১০ থেকে ১৫ জন করে অন্তত ৮০ জন রোহিঙ্গা ছিল।”
গত ১ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাবাহী ৫০৪টির বেশি নৌকা ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান মেজর রাসেল।
তাছাড়া সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত উখিয়ার বালুখালী ও নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পয়েন্ট দিয়ে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৪৯ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার।
এদের মধ্যে ১৪ পুরুষ, ১৫ নারী ও ২০ শিশু ছিল বলে জানান তিনি।
এ নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ২০২ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।
গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর তিনটি নিরাপত্তা চৌকিতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। সেই থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন রোহিঙ্গাবাহী নৌকা ফেরত পাঠাচ্ছে বিজিবি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।