উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহআলমের ‘বিরোধিতা’ করায় শারিরিক লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী। ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলম নিজেই ওই নারী জনপ্রতিনিধিকে লাঞ্চিত করেন।
উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় হলদিয়া পালং ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মাঝে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণের কেন্দ্র পরিবর্তনের প্রতিবাদ করেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী। এতে ক্ষিপ্ত হন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহআলম। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী মিটিং থেকে বের হওয়ার পরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহআলম তাকে মৌখিক ও শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার মরিচ্যা বাজারে স্থানীয় জনগণ তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। ওই সমাবেশে নারী ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী তার উপর ইউপি চেয়ারম্যানের অসদাচরণ ও শ্লীলতাহানির বর্ণনা দেন।
সুত্র মতে, বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মাঝে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণে কেন্দ্র পরিবর্তনের প্রতিবাদ করেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী।
ওই সময় তিনি বলেন, যাতায়াত সমস্যার কারণে ইতোপূর্বে মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জনসাধারণের মাঝে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ হচ্ছিল। কিন্তু হলদিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আলম অন্যত্র কেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার কারণে জনগণ যাতায়াত সমস্যায় পড়েছেন।
তাঁর মতে, ৭৫০ টাকার গ্যাস সিলিন্ডার আনতে অনেকের ৫০০ টাকা পর্যন্ত যাতায়াত খরচ বহন করতে হচ্ছে।
এছাড়াও কামরুন নেছা বেবী তার বক্তব্যে ভিজিডি, ভিজিপি, এনজিও-নন এনজিও’র বিষয়ে চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরেন।
বক্তব্য শেষে উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী সভাস্থল ছেড়ে ইউএনও অফিসের বাইরে এলে চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার কৈফিয়ত চান। এ সময় চেয়ারম্যান শাহ্আলম তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তার হিজাব ধরে টান মারেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।
স্থানীয় সুত্র জানিয়েছেন, ওই ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার মরিচ্যা বাজারে স্থানীয় জনগণ তাৎক্ষণিক সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। ওই সমাবেশে নারী ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নেছা বেবী তার উপর চেয়ারম্যানের অসদাচরণের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
অপরদিকে নিজের কৃতকর্মের পর উল্টো ‘বেআইনী জনতা গঠন করে’ মরিচ্যা বাজারে সড়ক অবরোধ করে ইউপি চেয়ারম্যানের কিছু লোক। এ সময় প্রায় ৩ ঘন্টা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।