২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

উখিয়ায় নির্বিচারে সামাজিক বনায়ন নিধনঃ কর্তৃপক্ষ নিরব

pic-ukhiya-02-12-16
উখিয়ার উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিয়াপালংয়ে স্থানীয় বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নির্বিচারে সামাজিক বনায়ন নিধন করে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ কাঠচোরের দল। একদিকে যেমন সামাজিক বনায়ন নিধন হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী মহল।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন জালিপালংয়ের জুম্মাপাড়া এলাকার সবুজ বেষ্টিত বনভূমি ও ২০১২ সালের সৃজিত ২০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন সহ জালিয়াপালং ইউনিয়নের ও ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন শত শত একর বনভূমি দিন দিন উঝাড় হতে চলেছে। এছাড়াও সৃজিত বাগানগুলোতে বেড়ে উঠা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ইতিমধ্যে শূণ্য হতে চলেছে। যা বনবিভাগের ক্ষুদ কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছে রীতিমত। স্থানীয় উপকার ভোগীদের অভিযোগ বনবিভাগের অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে আজ বনভূমি শূণ্যের কোটায় চলে যাচ্ছে। যার ফলে একদিকে বনবিভাগ ধ্বংস হচ্ছে পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১২ সালের সৃজিত সামাজিক বনায়নে বিভিন্ন উপকারভোগী থাকলেও তাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম এখন নিমিশে মাটি হতে চলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপকারভোগী বলেন, জালিয়াপালং ইউনিয়নে জুম্মাপাড়া এলাকার কাঠচোরের অন্যতম সুরুত আলম সিন্ডিকেট জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা নুরুল আবছারকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত সামাজিক বনায়নের অসংখ্য কাঠ দিন দুপুরে কেটে বিভিন্ন করাত কলের মালিকদের সাথে যোগসাজসে বিক্রি করা হচ্ছে। উক্ত সামাজিক বনায়ন ও বনভূমি ধ্বংসের পেছনে রয়েছে কিছু অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী ও করাত কলের মালিকরা। সচেতন মহলের দাবী করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে বননিধন বন্ধ করা সম্ভব। সামাজিক বনায়ন রক্ষা ও বন বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বন সংরক্ষক এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা নুরুল আবছারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, জনবল সংকট থাকার কারণে সামাজিক বনায়নের পাহারা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটি বিটে মাত্র দুইজন লোকবল নিয়ে বন রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে তিনি দাবী করেন।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক সাওয়ার আলম বলেন, বন উঝাড় ও গাছ কর্তনের সাথে যদি কোন কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।