উখিয়ায় ১৮ কোটি টাকার ২০টির অধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধিনে (এলজিইডি) গ্রামীণ সড়কের কার্পিটিং কাজ, রাবার ড্যাম নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ ভবনসহ খালের উপর ব্রীজের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ জানান, ইতিমধ্যে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি রাবার ড্যামের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পথে রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রায় ১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রাবার ড্যাম নির্মাণ, সড়কের কার্পিটিং কাজ, বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবন ও খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ। জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো ও সড়ক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সোহরাব আলী বলেন, ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে রতœাপালং ইউনিয়নের থিমছড়ি খালের উপর রাবার ড্যাম, ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম ডিগলিয়া খালের উপর রাবার ড্যাম নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও ৪ কোটি ৬৪ লাখ ব্যয়ে হরিণ মারা খালের উপর রাবার ড্যাম স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার পথে।
উখিয়া এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রতœাপালং-হলদিয়াপালং (মির আহমদ ডিসি) সড়কের কার্পিটিং কাজ, ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে রতœাপালং ইউপি অফিস হতে চাকবৈঠা বাজার ভায়া গয়ালমারা পর্যন্ত সড়কের সংস্কার ও মেরামত কাজ, ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উখিয়া ডাকবাংলো হতে দরগাহ বিল সড়কের কার্পিটিং কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইমামের ডেইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন সম্প্রসারিত একাডেমীক ভবন ও ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে সোনারপাড়া জিসি-মেরিণ ড্রাইভ (মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মান্নান) সড়কের কার্পিটিং কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হবে।
রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, এলজিইডির অধিনে সমাপ্ত হওয়া ভালুকিয়া-থিমছড়ি খালের উপর রাবার ড্যাম স্থাপন ও নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় এই এলাকার প্রায় ৩শত প্রান্তিক চাষীর পরিবারে হাঁসি ফুটেছে। রাবার ড্যামের পানি নিস্কাষনের মাধ্যমে প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে বুরো মৌসুমে চাষাবাদের পাশা-পাশি নানা রকম সবজি চাষের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে রতœাপালং ও রাজাপালংয়ের ২টি রাবার ড্যামের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় শুস্কমৌসুমে প্রায় দেড় হাজার একর অনাবাদী জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাস্তবায়নাধীন অধিকাংশ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ও এলজিইডির সিডিউল অনুযায়ী এসব প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
স্থানীয় সুশীল সমাজের অভিমত এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হলে গ্রামীণ জনপদের সড়ক যোগাযোগের অভূতপূর্বক উন্নয়ন সাধিত হওয়ার পাশা-পাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রসার হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।