হুমায়ূন রশিদ,(টেকনাফ):উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের জীবন-যাপন প্রত্যক্ষ করে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল।
১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে তিনি বিশাল গাড়ী বহরে নিয়ে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং তাদের মধ্যে নগদ অর্থ,খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন প্রকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওঃ সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী,মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ ইউনুছ আহমদ,শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহমান,মাওঃ আতাউর রহমান আরেফী,এডভোকেট লুৎফর রহমান শেখ,চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ ইসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের,ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশ্রাফ আলী আকন্দ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিএম রুহুল আমিন,কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম,ত্রাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী,সহসভাপতি মাওঃ আবুল হাশেম,জেলা সাধারন সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব, যুগ্নসম্পাদক এআরএম মাওলানা ফরিদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ আনোয়ার,বামুক জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ বদিউল আলম,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ তৈয়ব আরমান,সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক নেজামী,যুগ্নসেক্রেটারি মাওলানা হাফেজ এনামুল হক মঞ্জুর,বামুক সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ জুবায়ের,ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ উপজেলা আহবায়ক হাজী মোঃ ইসমাইল,ইশা ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর ও টেকনাফ উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ আখতার কামাল প্রমূখ। এরপর তিনি বলেন,রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত খুন, হামলা এবং নির্যাতন জাহেলী যুগের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। রেহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে ওআইসি,জাতীয় সংঘসহ মুসলিম বিশ্বকে এসব বর্বরতার বিরুদ্ধে অবরোধসহ যে কোন কঠোর কর্মসুচী হাতে নেওয়ার আহবান জানান। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অংসান সুচির খুটির জোর কোথায় খুঁেজ বের করতে হবে। সুচি রক্ত পিপাসু তার বিচার হতেই হবে। সুচি রোহিঙ্গাদের গণ হত্যা,নির্যাতন বন্ধ না করলে বাংলাদেশের মুসলমানরা আরকান দখল করেই সে দেশে রেহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য করা হবে বলে তিনি হুশিঁয়ারী দিয়ে এই ঘোষনা দেন। পাশাপাশি নির্যাতনের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চির বিচার ও দাবি করা হয়। আর যারা শরনার্থী হিসেবে রয়েছে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া সরকার ও আমাদের কর্তব্য। রোহিঙ্গাদের অনেক কিছু প্রয়োজন তাই যারা ত্রাণ দিতে আসে তাদেরকে প্রশাসনিকভাবে সহায়তার আহবান জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।