উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন ও রত্নাপালং ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক মধ্যরত্না-বড়বিল সড়কে ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে কালভার্ট ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন মূহুর্তে মারাত্বক দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। স্থানীয় সচেতন অভিবাবকগণ তাদের কচিকাচা ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ের পাঠাতে ভয়ে চরম হতশা প্রকাশ করেছে।
সরজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার দুইটি ইউনিয়ন হলদিয়াপালং ও রত্নাপালং ইউনিয়নের ১৫ হাজারের বেশি জনগণ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা প্রতিদিন উক্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করে তাকে। সড়কের উপর দিয়ে মাটি ভর্তি ডাম্পার ও ভারি যানচলাচলের কারনে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্ডকে জনচলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের একাধিক ছোট-বড় কালভার্ট ভেঙ্গে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। কালভার্টের গর্তে পড়ে ইতি মধ্যে ছোট-বড় কয়েটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। উক্ত সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ ঘামী অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী যাতায়ত করে থাকে। জনগুরুত্বপুর্ণ সড়কের বেহাল দশায় পরিণত হলেও কালভার্ট ও সড়ক সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এক ধরনের অবহেলাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ বড়ুয়া জানান, দুই ইউনিয়নের জনগণের জন্য উক্ত সড়কটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ হলেও কিছু অসাদু মাটি ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত মাটি ভর্তি ডাম্পারসহ ভারি যানচলাচল এর কারনে সড়কটি দিন দিন খানা খন্ডকে ভরে গেছে। অথচ জনপ্রতিনিধিরা দেখেও সড়কের সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ব্যবসায়ী আব্দুল মাজেদ জানান, সড়ক ও কালভার্ট গুলো চলতি মৌসমে সংস্কার করা না হলে আগামী বর্ষায় সাধারণ জনচলাচলসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানঘামী ছাত্র-ছাত্রীদের চরম ভাবে ভোগান্তি পোহাতে হবে। হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতি মধ্যে উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই সড়ক ও কালভার্ট সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি প্রতিবেদকে জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।