এম.এস রানা,(উখিয়া): উখিয়া রত্নাপালংয়ে চোরের উপদ্রব আশ্ংকাজনক হরে বৃদ্বি পেয়েছে। ওই এলাকার মাদকসেবী দুর্ধষচোর সোহেলের অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। সোহেইল্যা চোরের হাত থেকে বাগানের সুপারী, নারকেল, হাঁস মুরগী সহ নানান মালামাল রক্ষা করতে রাতে পাহারা বসিয়ে নির্ঘুম রজনী পার করছে এলাকার সাধারন মানুষ।
জানা যায়, উখিয়া উপজেলার দক্ষিন রাজাপালং গ্রামের মোঃ সোহেল, (৩০) দীর্ঘদিন ধরে পার্শবর্তী রত্নাপালং রুহুল্লার ডেবা গ্রাম সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রতিরাতে চুরি সংঘটিত করে আসছে। তার কারনে বাগানের ফল, সুপারী বাগানের সুপারী, হাঁস মুরগী, ঘর বাড়ি নিরাপদে থাকা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। ইতি মধ্যে গ্রামবাসী চোরাইকৃত মালামাল সহ তাকে কয়েক দফা আটক করলেও আর চুরি না করার মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে পুনরায় দির্ধর্ষ চুরি জড়িয়ে পড়ে। সোহেলের রয়েছে ৪/৫ জনের একটি চুরের দল ইতিমধ্যে তারা রুহুল্লার ডেবা গ্রামের মাষ্টার ছৈয়দ নুর, ছৈযদ আলম, মৌলানা কলিম উল্লাহ ,আলহাজ্ব ওবাইদুল হক,আহমদুল হক বাবুল, জাগির হোসাইন, ফকির আহমদ, জানে আলম,মুজিবুল হক,ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন সহ অনেক গ্রামবাসীর সুপারী বাগানের সুপারী সাবাড় করে দিয়েছে। মাদ্রাসা ওসমান বিন আফ্ফান( রা) এর পরিচালক মৌলানা কলিম উল্লাহ বলেন এলাকার দুধর্ষ চোর সোহেইল্যার কারনে সাধারন মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছেনা,এই চোরের দল থেকে বাঁচতে রাত জেগে পাহারা বাসানো হয়েছে। বলতে গেলে এক সোহেইল্যার কারনে হাজার এলাকাবাসীর ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সাবেক মেম্বার আসহাব উদ্দিনের সহযোগীতায় তাকে কয়েক বার হাতেনাতে আটক করা হলেও তার বাবা-মা মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবার কয়েকদিন পর পুনরায় শুরু করে চুরি কর্মকান্ড। অভিযোগ উঠেছে সোহেইল্যা তার মা-বাবার সহযোগিতায় চুরি কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তল্লাশী চালালে তার বাড়ি হতে চুরাইকৃত মালামাল উদ্বার করা সম্ভব বলে অনেক স্থানীয় বাসিন্ধা জানান। এলাকার শান্তি নষ্টের হোতা মাদকসেবী দুধর্ষ চোর সোহেইল্যাকে আটক করে আইনের আওতায় আনার পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।