প্রিয় উখিয়াবাসী
দুর্যোগের এ সময়ে সঠিক পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।এ সংকট কতদিন চলবে তা বলা যাচ্ছে না।আমাদের শক্তি,জনবল সংরক্ষন করে ব্যবহার করতে হবে।কিছু বিষয় আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
১।আমাদের উখিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৫৮০০০,সরকারি হিসেবে পরিবার সংখ্যা ৩৬০০০ হাজার।আমরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন সংস্থার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় আমাদের পরিবার সংখ্যা প্রায় ৪৫০০০ হাজার।
২। সরকারি নিয়মিত সাহায্য হিসেবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা প্রতি কেজি মাসিক ৩০ কেজি চাল পায় ১০৩৮০ পরিবার।যা মার্চে ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে।এপ্রিলের বরাদ্দ কয়েকদিনের মধ্যে আমরা দিয়ে দিব।
৩।ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় নিয়মিত মাসিক ৩০ কেজি চাল পায় ২৪০০০ পরিবার।যা বিতরণ শুরু হয়েছে।
৪।প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত জিআর বরাদ্দ ৩০ টন দিয়ে পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে ৩০০০ পরিবারকে ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।আরো ১০ টন বরাদ্দ ইউনিয়নে দেয়া হয়েছে, এর মাধ্যমে আরো ১০০০ পরিবারকে সহায়তে দেয়া হবে।
৫।উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ব্র্যাক তাদের নিজস্ব উপকারভোগী ১৫০০ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন /ইউনিয়ন পরিষদ/সরাসরি আবেদিত ৩৮০০ মোট -৫৩০০ পরিবারকে এককালীন ১৫০০ টাকা অর্থসহায়তা করছে।যা বিতরণ আজ থেকে শুরু হবে।
৫।উপজেলা প্রশাসন স্থানীয়ভাবে প্রায় ৪০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।
৬।আমাদের কাছে প্রাপ্ত তালিকা অনুসারে স্থানীয় বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তি প্রায় ২০০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।অনেকের সহায়তার তালিকা আমাদের কাছে আসেনি,তবে জানা যায় এ সংখ্যা প্রায় ২০০০ পরিবার।
৭।উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করছে, তারা প্রায় ২২০০ পরিবারের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।আশা করি ১০-১৫ দিনের মধ্যে এ কাজ শুরু করতে পারব।
৮।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নিয়মিত জি আর ও অন্যান্য বরাদ্দ দিবেন।
৯।কক্সবাজার জেলার মান্যবর জেলা প্রশাসক মহোদয় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন,আমাদের চাহিদা সম্পর্কে খোজখবর নিচ্ছেন এবং চাহিদানুসারে বরাদ্দের ব্যবস্থা করছেন।
যেটি করতে চাই
১।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য,সংরক্ষিত সদস্যগনকে এলাকাভিত্তিক বাদ পরা লোকের তালিকা করতে বলা হয়েছে।এতে বরাদ্দ/সংখ্যার সীমাবদ্ধতা থাকবে না,যেখানে প্রয়োজন সেখানে বরাদ্দ দেয়া হবে।নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা করতে হবে।ভিজিডি/১০ টাকার চাল/ জি আর/ ব্র্যাক/স্থানীয়ভাবে সাহায্য প্রাপ্তদের রাখা যাবে না।
২।স্থানীয়ভাবে গন্যমান্য ব্যাক্তি/সেচ্ছাসেবকগন এ কাজে সহযোগিতা করতে পারেন।
৩।প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ভিত্তিক সরকারি /এনজিওর সহায়তাপ্রাপ্ত ব্যক্তির তালিকা আছে,সেখান থেকে যাচাই করতে পারেন।
৪।কোন এলাকা হতে প্রকৃতপক্ষে কেউ বাদ পড়লে তা স্থানীয় চেয়ারম্যান /ইউপি সদস্যকে জানাবেন,এতে কোন সমাধান না পেলে সরাসরি আমাকে জানাবেন।
৫।নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিজের এলাকার জনসমাগম যাতে না হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে।বাড়িতে অবস্থান করতে হবে।
৬।বিভিন্ন ব্যক্তি সরকারি সহায়তা প্রাপ্তির পরও বার বার সহায়তার জন্য ফোন দিচ্ছেন,অনেকে নাম পরিবর্তন করে একই দিন দুই বার সহায়তা নিয়েছেন এটি পরিহার করতে হবে।আমাদেত আরো বেশি মানবিক ও দ্বায়িত্বশীল হতে হবে।
আসুন সবাই মিলে কাজ করি।একসাথে দুরে থাকি।সাবধান থাকি।সচেতন থাকি।
বিঃদ্রঃ সরকারি বেসরকারি মিলে প্রায় ৪৮০০০ অধিক পরিবার খাদ্যসহায়তা পেয়েছে।তারপরও কেউ বাদ পরলে স্থানীয় চেয়ারম্যান /ইউপি সদস্য/সংরক্ষিত সদস্যের সাথে যোগাযোগ করবেন।তালিকা তৈরির কাজ চলমান আছে।কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে নিয়মিত সরকারি সহায়তা বাতিল করা হবে।আমি ইতোমধ্যে অনেকের এ ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে একই পরিবারে একাধিক সরকারি সাহায্য নেয়ার তথ্য প্রমান পেয়েছি,যা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
আমাদের চিকিৎসক, পুলিশ,সেনাবাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ সার্বক্ষণিক আপনাদের সেবায় নিয়োজিত আছেন।আপনারা ঘরে থাকুন।
দয়া করে কোন জনপ্রতিনিধি তালিকায় কাউকে বাদ দিবেন না এবং সরকারি /বেসরকারি সহায়তা, করোনা ভাইরাস কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে পেয়েছে এমন কাউকে তালিকায় রাখবেন না।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।