উখিয়ার পালংখালী আনজুমানপাড়া ওয়াকফা এস্টেটের আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শনিবার সকালেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে থানা প্রশাসন বলছে, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পালংখালী বটতলী এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী একজন মাদ্রাসা শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দা জানান, গত শুক্রবার বিকেল ৩ টায় সংগঠিত সহিংস ঘটনার জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ হলে মাদ্রাসা ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ীতে চলে যায়। এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানান, আনজুমান পাড়া ওয়াকফা এস্টেটের নির্বাচিত পরিচালক সোহেল মিয়ার পক্ষে নেতৃত্বদানকারী জাফরুল ইসলাম আনোয়ার কামাল জানু ওয়াকফা এস্টেটের আধিপাত্য ধরে রাখার জন্য শক্তির মহড়া চালাচ্ছে। অপর দিকে প্রতিপক্ষকে ঠেকাতে লতিফ আনোয়ার চৌধুরীর পক্ষে সুলতান মেম্বার ও তোফাইল আহমদ ওয়াকফা এস্টেটের কতৃত্ব ধরে রাখার জন্য প্রাণপন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যার ফলে প্রতিদিন কোন না কোন অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে আতংক।
পক্ষ পাতিত্ব নিয়ে বেশ কয়েকজন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি জানান, আর কয়েকদিন পর ওয়াকফা এস্টেটের মালিকানাধীন জমি থেকে প্রায় ৮ হাজার মন ধান ওয়াকফা এস্টেটের গোলায় উঠবে। এসময় চিংড়ি চাষাবাদের জন্য নতুন করে জমি লাগিয়ত করে কোটি টাকার মত আয় হবে। এসব আয়ের উৎসের মালিকানা ধরে রাখতে যেকোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, পালংখালী আনজুমান পাড়া ওয়াকফা এস্টেটের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।