২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

উখিয়ার পিঁয়াজ যাচ্ছে মিয়ানমারে


উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকার ভারত থেকে ভুর্তকি দিয়ে পিঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি করলেও সাধারণ জনগণ সে সুবিধা পাচ্ছে না। উখিয়ার অর্ধ শতাধিক পাইকারী ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সিংহভাগ পিঁয়াজের চালান খুচরা বিক্রির নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। চোরাচালান প্রতিরোধে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিজিবি সদস্যদের নজরদারি আরো বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিলেও থামছে না মিয়ানমারে নিত্যপণ্য পাচার।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া ডেইলপাড়া, হাতিমোরা, আজুখাইয়া, ঘুমধুম, তুমব্রু, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী, ধামনখালীসহ প্রায় ১১টি পয়েন্ট দিয়ে নিয়মিত পাচার হচ্ছে নিত্যপণ্য। গত কয়েকমাস ধরে ভারত থেকে আমদানি করা পিঁয়াজ মিয়ানমারে ধারাবাহিক পাচারের বিষয় নিয়ে টপ অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে উখিয়া। বিশেষ করে সীমান্তের তুমব্রু ও থাইংখালী রহমতের বিল পয়েন্ট দিয়ে বেশির ভাগ পণ্য পাচার হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উখিয়া সদর, মরিচ্যা, কোটবাজার, কুতুপালং, থাইংখালী, বালুখালী ও পালংখালী এলাকার প্রায় ২০ জন পাইকারী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১শ’ মেট্রিকটন পিঁয়াজ সরবরাহ আনা হচ্ছে। এসব পিঁয়াজ খুচরা বিক্রির নামে চাঁদের গাড়ীতে করে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে সুযোগ বুুঝে এসব পিঁয়াজ নাফ নদী পার হয়ে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। পিঁয়াজ সহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য মিয়ানমারে পাচার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় পাইকারী ব্যবসায়ী সিরাজ সওদাগর, প্রদীপ সেন, বিশ্ব নাথ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী তপন বিশ্বাস জানান, তারা খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। তারা এসব মালামাল কিভাবে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা আমাদের জানার কথা নয়। পিঁয়াজ ছাড়াও ভোজ্য ও জ্বালানী তেল, রসুন, আদা, চিনি, সেমাই থেকে শুরু করে আটা, ময়দা, সাবানসহ লক্ষ লক্ষ টাকার জীবন রক্ষাকারী ওষুধ মিয়ানমারে পাচার হলেও দেখার কেউ নেই।
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, নিত্যপণ্য পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ার কারণে তারা চোরাচালান প্রতিরোধ করতে পারছে না।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।