কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্বরত্না মৈত্রী বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই। ২৮ জানুয়ারী (শনিবার) রাত ৮টায় আগুনের সুত্রপাত হয়। ওই সময় বিহারাধ্যক্ষ জ্যোতিমিত্র নবরত্ন পরিত্রাণ পাঠ করতে এক দায়কের বাড়িতে যান বলে জানিয়েছেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সাধারণ শিক্ষক সুবদন বড়–য়া। আগুনের সুত্রপাত প্রাথমিক ভাবে মোম থেকে হয়েছে বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অগ্নিকান্ডের ১ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। যার কারণে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, মো: আলী হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল টুটুল, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী, রতœাপালং ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত হন।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন এবং তাৎক্ষণিক বিহারধ্যক্ষ ও বিহার পরিচালনা কমিটির সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসন সুষ্ঠু ভাবে বিষয়টি তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। রবিবার বিকাল ৩টায় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অন্নদা বড়–য়া।
বিহার পরিচালনা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ও সিএসবি২৪ ডটকম সম্পাদক পলাশ বড়–য়া বলেন, বিহারে থাকা ছোট-বড় আনুমানিক ৩০টি বুদ্ধমুর্তি, ভিক্ষুর ব্যবহৃত ল্যাপটপ, আসবাবপত্র সহ মূল্যবান সরঞ্জামাদি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১সালে বিহারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয়দের এবং তৎকালীন বিরোধীয় নেত্রী ও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শন পরবর্তী বিহারটি দ্বিতল ও সেমিপাকা করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে পুরো বিহারটি পুড়ে ছাই হয়েছে গেছে। তবে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ জানা যায়নি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈন উদ্দিন প্রাথমিক ভাবে মোম থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর। রবিবার পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন। এ রিপোর্ট লেখাকালীন রাত ১১টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উখিয়া থানা পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।