ওরা সবাই রোহিঙ্গা যুবক। অবৈধ অস্ত্রও থাকে কয়েকজনের কোমরে। অন্তত ২০-২৫জন মিলে দল বেঁধে আসে প্রতি রাতে। জমায়েত হয় বালুখালী স্কুল পাহাড়ে। বিজিবিকে পাহারা দিয়ে তারা সীমান্ত এলাকায়ও যায়। বস্তিতে ফিরে আসে ভোররাতে। এদের কাজ কি? এলাকার লোকজনের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তারা স্থানীয়দের বলে থাকে কোন সমস্যা নেই, তাদের নেতাকে পাহারা দিতে এসেছে। তবে তাদের নেতা কে? তা বলতে নারাজ সশস্ত্র এসব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।
এদিকে উখিয়ার বালুখালী সীমান্ত ও আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় কয়েকদিন ধরে এভাবে অপরিচিত সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের আনাগোনা এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়া ছাড়াও ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বালুখালী বনাঞ্চলে অবৈধ রোহিঙ্গা বস্তি গড়ে উঠায় গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। তারা অস্ত্র নিয়ে রাতে ঘুরা-ফেরা করে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় আবছার মেম্বারের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তিনটি অস্ত্র, গুলি ও কিরিচ উদ্ধার করেছে। তবে রহস্য জনক কারণে এখনও ওসব অস্ত্রের মালিককে খুঁজে পায়নি পুলিশ।
উখিয়ার পালংখালী ও বালুখালী এলাকাকে এমনিতে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে সশস্ত্র আরএসওর গোপন আস্তানা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরাকান বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্র“প আলএ্যাকিন, আরএসও এবং নব্য জেএমবিসহ বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের অস্ত্রধারীরা বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। প্রশাসনের অনুমতি বিহীন অনেকটা শক্তি প্রয়োগ করে গড়ে তোলা বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তি নিরাপদ ভেবে জঙ্গীরা ওখানে ছদ্মবেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে একটি সূত্র আভাস দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা ছাড়া অবৈধ বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকার লোকজন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।