২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

উখিয়ার লোকালয়ে একজোড়া বন্যহাতি; কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় ফিরলো বনে

বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়ায় লোকালয়ে হানা দিয়েছে দুই বন্য হাতি। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে উখিয়া
রেঞ্জের থাইংখালী বিটের তেলখোলা  বটতলী এলাকার বন থেকে হাতি দুটি অকস্মাৎ লোকালয়ে চলে এলে আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে এলিপ্যান্ট রেসকিউ টিমের বনবিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক ঘন্টা চেষ্টায় বিকেলে হাতি দুটোকে বনে ফেরাতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম।
থাইংখালীর বিট কর্মকর্তা মো. রাকিব হোসেন জানান, ভিলেজাররা খবর দেয় লোকালয়ে এক জোড়া হাতি এসেছে। অনেকে ভয়ে ঘর থেকে বের না হলেও শিশু-কিশোর ও উৎসুক জনতা হাতি দুটির অদূরে ভীড় জমায়। রেঞ্জার ও  ডিএফওকে অবহিত করে এ্যালিপেন্ট রেসকিউ টিমকে সাথে নিয়ে থাইংখালী, ওয়ালা ও দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা-ফরেস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট ভিলেজার-হেডম‍্যানদের নিয়ে হাতির এলাকায় যাওয়া হয়। সকলের আন্তরিক  প্রচেষ্টায় বন‍্য হাতি দুটিকে বিকেলের দিকে নিরাপদে বনে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয় আমরা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম বলেন, গত কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পাড়ি ছরায় বেড়েছে পানি। মনে হচ্ছে পানি খেতে বা পানিতে খেলতে হাতি দুটি পাহাড় থেকে নেমে আসে। ঘুরতে ঘুরতে তারা লোকালয়ে চলে এসেছিল।
ডিএফও আরো বলেন, এখন কাঁঠাল ও ধান পাকার সময়। এ সময় কাঁঠাল ও পাকা ধান খেতেও হাতিরপাল ধাব ক্ষেত ও লোকালয়ে আসতে পারে।
তিনি অনুরোধ করে বলেন, কক্সবাজারের চলমান সময়ে অধিকাংশ বসতি পাহাড়ের পাদদেশে। যা হাতি চলাচল ও বিচরণের জায়তা হিসেবে পরিচিত। তাই, সবার প্রতি অনুরোধ হাতির পাল পাকা ধান খেলে, ফলজ বাগান নষ্ট করছে দেখলে বনবিভাগকে খবর দিন। এদের অতিরিক্ত বিরক্ত করবেন না। ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় হাতি ক্ষতিকরলে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ সরকার পরিশোধ করবে। বন্যপ্রাণী ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালানো সবার নৈতিক দায়িত্ব।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।