উখিয়ার চেপটখালী গ্রামের শীর্ষ মানব পাচারকারী ফয়েজুর রহমান সিকদারের উখিয়া সদরের বটতলী এলাকার বিলাস বহুল দালান বাড়ী ভার্ক এনজিও সংস্থা মৃনাল কান্তি ঢালির মাধ্যমে বিক্রির তোড়জোড় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ বছর ধরে উক্ত এনজিও কর্মী ফয়েজের দালান বাড়ীর ২য় তলার একটি ফ্লাটে অবস্থান নিয়ে এনজিও কার্যক্রমের অন্তরালে ফয়েজের সাথে গভীর সখ্যতা গতে তুলে মানব পাচারে সহায়তার অভিযোগ উঠলেও কৌশলে উক্ত কর্মী থেকে গেছে ধরা ছোয়ার বাইরে। সম্প্রতি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে প্রশাসন সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তৎপর হলে শীর্ষ মানব পাচারকারী ফয়েজুর রহমান সিকদার কৌশলে মৃনালের সহায়তায় অজ্ঞাতস্থানে পলাতক থাকে। মানব পাচারের অর্থ দিয়ে গড়ে উঠা দালান বাড়ী স্থানীয় প্রশাসন সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জব্দ করার আতংকে উক্ত ফয়েজ সিকদার সু-কৌশলে উক্ত দালান বাড়ীটি তার সহযোগী খুলনা বাগেরহাট এলাকার বাসিন্দা এনজিও কর্মী মৃনালের মাধ্যমে বিক্রি করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবী করছে।
জানা যায়, জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেপটখালী গ্রামের মৃত মোস্তফিজুর রহমান সিকদারের ছেলে ফয়েজুর রহমান সিকদার পুলিশের তালিকা ভুক্ত শীর্ষ মানব পাচারকারী। তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের একাধিক মামলা আছে। সে ২০১২ সাল একটি পাচারকারী সিন্ডেকেট গঠন করে উখিয়া টেকনাফ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের কয়েক হাজার মানুষ সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। জানা যায়, মৃনাল কান্তি ঢালি স্থানীয় ভার্ক এনজিওর হিসাব রক্ষক। ২০১২ সালের ১৫ জুন থেকে উক্ত এনজিও শরনার্থীদের মাঝে অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এনজিও‘র সুনামকে পুঁজি করে উক্ত মৃনাল শুরু করে নানা অপকর্ম। শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগে অনিয়ম, চাকুরী নিতে আসা মহিলাদের সাথে অশুভ আচরন, অফিসে বসে নেশা সেবন, সংস্থার টাকা আত্মসাৎ, সানব পাচারে সহায়তা সহ নানা কারনে বিতর্কিত হয়ে যায়। ফয়েজের দালান বাড়ীর ২য় তলায় বসে সে শুরু করে নানা অপকর্ম। গভীর রাত পর্যন্ত উক্ত এনজিও কর্মী তার ব্যবহারের মোবাইল নং- ০১৬২৫-১৯০৬১৯, ০১৭৫৬-৩১৪৯১৫, ০১৮৪০-৩৫৮৪৯৩ সহ একাধীক সীম থেকে ফয়েজের সাথে কথা বলে এবং অপরাধ কর্মকান্ড করার নীল নকশা প্রনয়ন করে। সচেতন মহলের মতে উক্ত মোবাইল সীমের কললিষ্ট পর্যালোচনা করলে অপরাধের পিলে চমকানো তথ্য বেরিয়ে আসবে। ফয়েজ সিকদারের ভাড়া বাসায় বসবাসরত ভার্ক এনজিওর অপর কর্মকর্র্তা ওবাইদুল হক শামিম জানান, সে কয়েকমাস যাবৎ ফয়েজ সিকদারের ভাড়া বাসায় ভাড়ায় থাকছেন। মালিক কে দেখেনি। নিচ তলায় থাকা এক ভদ্র মহিলাকে বাসা বাড়ার টাকা দেয়। বিল্ডিংয়ের মালিক মানব পাচারের সাথে সংশি¬ষ্ট থাকার বিষয় বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়ে বাসা ছেড়ে নিয়ে অনত্র বাসা খুঁজছেন। একই কথা বললেন, নাম প্রকাশে অনিশ্চুক ঘরনী এনজিও‘র অপর কর্মী। এদিকে ভাড়াটিরা বাসা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রহস্য দাঁনা বেধে উঠেছে। মালিক কৌশলে দালান বাড়ীটি বিক্রির পায়তারা করায় ভাড়াটিয়ারা বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এমন মন্তব্য সচেতন মহলের। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মৃনাল কান্তি ঢালির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে কোন কথা না বলে লাইন কেটে দেওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, ফয়েজ সিকদার ২০১২ সাল থেকে চেপটখালী গ্রামের শরিফ মাষ্টারের ছেলে আবুল কালাম প্রঃ কালা কালাম, মৃত আবু বক্কুরের ছেলে মাহাবু আলম, মাহাবু আলমের ২ ছেলে ছৈয়দ আকবর, আলী আকবর, শাহপরীর দ্বীপ গ্রামের আমির সুলতানের ছেলে ওমর হালিম, মনখালী গ্রামের বশরত আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোছন প্রঃ ফেসুক্রুরী (৪৫), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দু রাজ্জাক (২৮), মোঃ ফয়সাল (৩২), মোহাম্মদ হোছন (৩৫), তোফাইল আহম্মদ, বাহাদুর, গোলাম শরিফের ছেলে নুরুল বশর, সোনার পাড়ার রেবি ম্যাড়াম, নাজিম উদ্দিন, কালা জমির, মাদারবুনিয়ার শফিকুর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল (২৫), আব্দুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম প্রঃ আবুইয়া, জুম্মাপাড়ার বেলাল মেম্বার, ছানা উল-াহ, আব্দুস ছালাম প্রঃ লম্বা ছালাম, লম্বরী পাড়ার বেলাল প্রঃ লাল বেলাল, চোয়াংখালী গ্রামের বার্মাইয়া হাশেম মাঝি, শামশুল আলমের ছেলে রুবেল, আবুল কাছিম প্রঃ সুদি কাছিমের ছেলে মনজুর আলম, মৌলভী বদিউজ্জামানের ছেলে করিম উল¬্যাহ, পূর্ব সোনার পাড়া গ্রামের কালা মন্টুর ছেলে নুরুল কবির, সোনাইছড়ি গ্রামের মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে রোস্তম আলী, সোনার পাড়া গ্রামের অজি উল্যাহর ছেলে কাউছার আহম্মদ জনি, ওমর সওদাগরের ছেলে আলমগীর হোছন রানা, উত্তর পুকুরিয়ার কামাল উদ্দিন, মরিচ্যার জাফর সওদাগরের ছেলে আবুল আজম প্রঃ আব্বুইয়া, মোঃ বেদাইয়া, পুর্ব হলদিয়ার মৃত নাজির হোছনের ছেলে মকবুল আহম্মদ, গোয়ালিয়া গ্রামের মুফিজ মিয়া প্রঃ কাঠ ব্যবসায়ী মনছুর, মাহমুদুল হক সহ শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট গঠন করে সাগর পথে মালয়েশিয়া মানব পাচার করে আসছে। তৎমধ্যে সম্প্রতি পুলিশ বাহাদুর ও ওমর হালিমকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে। অপর মানব পাচারকারীরা এখনো আটক হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।