উখিয়ায় গতকাল শনিবার থেকে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থা কর্মসূচীর (ইজিপিপি) ২য় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতি বছরই দুইবার করে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সরকার এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। কর্মসংস্থান প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩১টি প্রকল্পের মাধ্যমে কার্ড প্রদান করেন ১৩ শ ২৭ জনকে। এই বছরও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩১টি প্রকল্প। উক্ত প্রকল্পের বিপরীতে শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ৩ শ ৬৭ জন বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। উক্ত কর্মসূচীর আলোকে গ্রামীণ জনপথ, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, কবরস্থান, মন্দির, গীর্জা, মাঠ ও পুকুর সংস্কার করা নিয়ম রয়েছে। এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাকী বিল¬¬াহ বলেন, ইতিমধ্যে ৫টি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার ১৮ এপ্রিল থেকে উখিয়ার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রত্যান্ত এলাকায় এক সাথে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে মত বিরোধের জের ধরে যাবতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জানা গেছে। গতকাল শনিবার উপজেলার অন্যান্য ৪টি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের কর্মসৃজনের কাজ শুরু হলেও পালংখালী ইউনিয়নে শুরু হয়নি। এনিয়ে অতিদরিদ্রদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হতে দেখা দিয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ বাকী বিল্লাহ বলেন, মতবিরোধের জের ধরে পালংখালী ইউনিয়নের কাজ শুরু করা হয়নি। এ বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ফজল কাদের ভুট্টো বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিলে¬¬াল বিশ্বাস বিষয়টি সমাধানের জন্য আগামী রোববার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের তাঁর অফিসে তলব করেছেন। উক্ত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোন সময়ে কাজ শুরু হতে পারে। পালংখালী ইউপি চেযারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ইউপি সদস্য মুফিজুল আলম জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী তার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।