উখিয়া উপজেলায় আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের অঘটনের আশংকার পাশাপাশি দাম নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা।
জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণের পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখার বিধান থাকলেও বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এই নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই সাধারণ ব্যবসার মতই চালিয়ে যাচ্ছে গ্যাসের ব্যবসা। জনসমাগম স্থলে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা ছাড়াই বিপজ্জনকভাবে এ ধরনের দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যেমন দণ্ডনীয় অপরাধ তেমনি অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র কোটবাজার, উখিয়া, মরিচ্যা, সোনারপাড়া, পালংখালী বাজারে মুদি দোকান, পানের দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, গ্যারেজ, ওষুধের ফার্মেসিতে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের রমরমা ব্যবসা। অথচ উপজেলার গুটি কয়েক দোকান ছাড়া অধিকাংশ সিলিন্ডার বিক্রির দোকানে বিস্ফোরক লাইসেন্স নেই। নেই কোনো ধরনের অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রও।
এ দিকে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা গ্যাসের দামও নিচ্ছেন বিভিন্ন কায়দায়। এলপি গ্যাস ৯৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১২শত টাকায় বিক্রি করা হয় বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভোক্তা। এছাড়াও ওমেরা, বসুন্ধরাসহ অন্যান্য গ্যাস বিক্রির ক্ষেত্রেও ভিন্ন ভিন্ন দাম নেওয়ার হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার বিধান থাকলেও এই বিধান কোনো ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না।
স্থানীয় কোটবাজারের কয়েকজন গ্যাস ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সাম্প্রতিক যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির হার ববৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং পরিবেশকদের মিলে লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ফুটপাতে গ্যাস সরবরাহ দিচ্ছে।
বিপদজনভাবে অবাধে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি রোধ এবং সঠিক দাম নির্ধারণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন ভোক্তা মহল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।