৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২৩ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৩ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  নাফনদে দুই সহোদর শিশুর মৃত্যু    ●  ধান চাষ করে নৌকায় চড়া উখিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা   ●  পরিবহন সমিতির নামে বদি শ্যালকের কোটি টাকা লুটপাট   ●  ‘আমি কোন গাড়িতে উঠেছিলাম সেটা আমি নিজেও জানতাম না’ -সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  চকরিয়ায় পাহাড়ি ঢলে ভেসে শিশুর মৃত্যু   ●  ‘গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে পালিয়ে গিয়েছেন শেখ হাসিনা’   ●  “পালংখালী ইউনিয়ন  জামায়াতের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত    ●  পেকুয়ায় সড়কে  শৃঙ্খলা ফেরাতে যৌথ অভিযান   ●  সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর মানববন্ধন ও স্মারক লিপি    ●  উখিয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

উখিয়ায় অবৈধ ফার্নিচার ব্যবসা জমজমাট : বন বিভাগের মাসিক আয় কয়েক লাখ টাকা

index
কক্সবাজারের উখিয়ায় অবৈধ ফার্নিচার ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। এ কারণে উখিয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাঠ শেষ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। সরকার এখাত থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে এখানকার সচেতন মহল মনে করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব ফার্নিচারের দোকান থেকে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জেলার উর্ধ্বতন বন কর্মকর্তা, স্থানীয় কতিপয় গনমাধ্যম কর্মীরাও ওই ঘুষের টাকা ভাগ পান বলে জনশ্রুতি রয়েছে। শীঘ্রই ফার্নিচারের দোকান গুলোতে অভিযান পরিচালনা করবেন স্থানীয় বন বিভাগ। উখিয়ায় ৩ শতাধিক ফার্নিচারের দোকান রয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে উখিয়ার ফলিয়াপাড়া রাস্তার মাথা, কুতুপালং বাজার, কোটবাজারের ঝাউতলায়, মরিচ্যা উত্তর ও দক্ষিণ ষ্টেশনে, সোনারপাড়া, থাইংখালী, বালুখালী, পালংখালীসহ বিভিন্ন স্পটে এ ফার্নিচার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘেœ।  এসব ফার্নিচার দোকান মালিকদের সাথে স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি মাসে ওই ফার্নিচারের দোকান গুলোতে জনৈক এক বন কর্মী পাঠিয়ে মাসিক মাশোহারা তুলে নেন। সে গুলো জেলা ও উপজেলা কতিপয় ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছে দেন। এসব ফার্নিচারের দোকান গুলোতে উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সামাজিক বনায়নের কাঠ, আগর কাঠ মজুদ করার খবর পাওয়া গেছে। এখানকার সচেতন মহল মনে করেন। উখিয়ার বন বিভাগ এ সব ফার্নিচারের দোকান গুলোতে অভিযান পরিচালনা করলে কয়েক কোটি টাকার কাঠ জব্দ করার সম্ভব বলে এখান সচেতন মহল মনে করেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ফার্নিচার মালিক বলেন, স্থানীয় বন বিভাগের লোকদের মাসিক মাশোহারা দিয়ে ব্যবসা করছি। ভাই আপনার অসুবিধা কিসের। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ইব্রাহীম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল করিম বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
    ফাইল ছবি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।