২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

উখিয়ায় কর্মসৃজনের নামে চলছে হরিলুট

উখিয়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে কর্মসৃজনে নামে চলছে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও লুটপাট। কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ পরিচালনা ও তদারকিতে সংশি¬ষ্টরা পরস্পর যোগসাজসে দায়সারা ভাবে কাজ করে সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা নয় ছয় করে আতœসাৎ করছে। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে প্রকল্প কমিটির সদস্যরা শ্রমিকদের কাজে অনুপস্থিত রেখে এবং মাঠে কাজ না করে সরকারী টাকা যেনতেন ভাবে আতœসাৎ ও লুটপাট করছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। কর্মসৃজন প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত থাকা কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন না করে অফিসে বসে এসব অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে লুটপাটের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।
উখিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলায় ৫ ইউনিয়নে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্ধে ৩১টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত ১৮ এপ্রিল থেকে। সংশিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প কমিটির সদস্যরা শ্রমিকদের সপ্তাহে ১/২ দিন কাজ করিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৩ কাজ বন্ধ রেখে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে সরকারী অর্থ আতœসাৎ করে যাচ্ছে। একদিকে সরকারী টাকা আতœসাৎ অন্যদিকে এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে না এবং সাধারণ শ্রমিকদের ঠকিয়ে কর্মসৃজনের নামে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি ও ব্যাংক কর্মকর্তারা লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ করছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন। প্রায় ২ সপ্তাহ কাজ অতিবাহিত হলেও কাজের উন্নয়নের চিত্র ও প্রকল্পের অস্থিত্বও খুঁজে পাওয়া যাচেছ না এলাকায়। বিশেষ করে রাস্তা নির্মান করার নামে পুরানো রাস্তা গুলোর উপর শুধুমাত্র প্রলেপ দিয়ে কাজ শেষ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাকী বিল্লাহ বলেন, তাঁর মতে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ ভাল ভাবেই হচ্ছে। তবে তার কথার সাথে এলাকায় কর্মসৃজন কাজের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনও অভিযোগ রয়েছে. এলাকায় শ্রমিক হিসেবে বিশেষ একটি দলের নেতাকর্মীদের নাম দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশি¬ষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজারকে কমিশন দেওয়া হচ্ছে। বলতে গেলে, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান,মেম্বার,টেক অফিসার ও ব্যাংক ম্যানেজার মিলেমিশে কথিত কর্মসৃজনের কাজ দেখিয়ে সরকারের মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রকল্পের নামে দিয়ে। বিগত দিনে এ প্রকল্পে লুটপাটের ঘটনায় বেশ কয়েকবার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কর্মসৃজন প্রকল্পের অস্তিত্বু খুঁজে পায়নি। এর পরেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ প্রসাশনের শীর্ষ পর্যায়ে ম্যানেজের মাধ্যমে এ বছরও শুরু করা হয় লুটপাটের কমৃসৃজন প্রকল্প। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতি বছরই দুইবার করে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সরকার এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়ে থাকে। কর্মসংস্থান প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩১টি প্রকল্পের মাধ্যমে কার্ড প্রদান করেন ১৩ শ ২৭ জনকে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাকি বিল্লার সহয়তায় সরকারদলীয় সিন্ডিকেট ব্যাপক হরিলুটের মাধ্যমে যেনতেন ভাবে কাজ শেষ করে। ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩১টি প্রকল্প। উক্ত প্রকল্পের বিপরীতে শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ৩ শ ৬৭ জন বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দরিদ্রদেও জন্য সরকারী টাকা যাতে সঠিকভাবে ব্যায় হয় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ,সবাইকে এ ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে বলে তিনি মতামত ব্যাক্ত করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।