২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

উখিয়ায় কালবৈশাখীর ছোবলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কালবৈশাখীর তান্ডবে কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ঘর-বাড়ি, পানের বরজ, ক্ষেত খামার সহ বোরো পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সে সাথে ভারী বৃষ্টি ও হালকা-মাঝারি ধমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বস্তির ঝুপড়িসহ কাচা-পাকা ঘর বাড়ি বিধস্ত হয়েছে। এছাড়া হালকা ঝড়ো হাওয়া-বৃষ্টিতে আম, লিচু, তরমুজ, ভাঙ্গি সহ মৌসুমী ফল-ফলাদি নষ্ট হয়ে প্রান্থিক চাষীরা আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। বাতাসের প্রবল বেগে বসত বাড়ির ছাউনী উড়ে গিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিনযাপন করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষনিকের জন্য ধেয়ে আসা ঘুর্ণিঝড় উখিয়ার রাজাপালং, জালিয়াপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের ফারির বিল আলিম মাদ্রাসার একটি সেমিপাকা ভবনের কিছু অংশের ছাউনী উড়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানিতে ক্লাস রুম কাঁদাময় হয়ে উঠে। পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম.এ মনজুর জানান, মাদ্রাসার ছাউনী উড়ে যাওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা-পড়া ব্যহত হচ্ছে। মাদ্রাসার পার্শ্বস্থ ক্ষতিগ্রস্থ বসত বাড়ি ঘুরে ক্ষতিগ্রস্থ আবদুল গফুর (৪৫) জানান, গত ২ মাস যাবত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তাকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে। এমতাবস্থায়, মঙ্গলবার মধ্য রাতে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড়ে তার বসত বাড়ির ছাউনী উড়ে যাওয়ায় তাকে ছেলেমেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
এদিকে গতকাল সরজমিনে পালংখালী ফারিরবিল আলিম মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে স্থানীয় অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকগণ মাদ্রাসার এ দুর্যোগকালে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জমির উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এব্যাপারে মাওলানা জমির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। জালিয়াপালং ও রাজাপালং ইউনিয়নের বেশ কিছু স্থানে কালবৈশাখী ছোবলে বেশ কিছু কাঁচা ঘর-বাড়ি চালা উপড়ে গেছে। গাছ-পালা ভেঙ্গে গেছে। পাঁকা বেরো ধানের ক্ষেতের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে, পানের বরজ সহ মৌসূমী ফল-ফলাদির ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি তার জানা নেই।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।