৩০ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

উখিয়ায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাঁকো পারাপার

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ীস্থ রেজু খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে পারপার করছে কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ ৫হাজারের অধিক সাধারণ জনগণ। খালটির পূর্বদিকে অবস্থিত পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ওয়ালডং পাহাড়। পশ্চিমে উখিয়ার রেজুনদী। গ্রামটিতে নেই কোন সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টান।

এই গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণপাতাবাড়ীতে হলেও মাঝখানে খালটি বড় বাঁধা। উত্তরকূল গ্রামের শিশুরা বিদ্যালয়ে যেমন নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঠিক তেমনি বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও প্রতিদিন তাদেরকে আরেকটি পরীক্ষা দিতে হয়। বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ফেল করলে পরবর্তীতে পাসের সুযোগ থাকে। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে ফেল করলে জীবনে বেঁচে থাকাও দায় হয়ে দাঁড়াবে। এই বাঁশের সাঁকোটি শিশুদের কাছ থেকে এ পরীক্ষা নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

পাতাবাড়ী উত্তরকূল গ্রামের জাহেদ (৩০) বলেন, বিগত সময়ে উখিয়ায় যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে প্রার্থীরা খালের ওপর সাঁকোর স্থলে একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। বর্ষাকালে আমাদের গ্রামের শিশুরা ওই সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। সে সময়টা তাদের লেখাপড়া বন্ধ থাকে।

সম্প্রতি একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন বিদ্যালয়টির নাম দিয়েছেন গ্রামীন শিশু বান্ধব পাঠশালা। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টার কারণে সেখানকার অসহায় হতদরিদ্র শিক্ষা বঞ্চিত অন্তত শতাধিক ছাত্র/ছাত্রীদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যাহা ইতিমধ্যে
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসীও বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা হওয়ায় অনেক খুশি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।