২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

উখিয়ায় তীব্র ভাঙ্গনের মুখে রেজুখাল

Ukhiya Pic-23-04-2015
রেজুখালের অব্যাহত ভাঙ্গনে গ্রামের পর গ্রাম বিলিন হতে চলছে কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূল তীরবর্তী এলাকা। এখানকার ৪ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে এগিয়ে আসার জন্য স্থানীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদির আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এখানকার গৃহহীন পরিবারের লোকজন। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আরো শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ১০/১৫টি পরিবারের বসতবাড়ী অর্ধেক নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে। অবশিষ্ট পরিবার গুলো কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ছৈয়দ উল্লাহ (৪০) আবুল কালাম বলেন, বাপ দাদার দিনের শেষ স্মৃতি টুকু আকড়ে ধরে আছি, তাও যে কখন রাক্ষুসে নদী গিলে খায় বলা যাচ্ছে না। তারা বলেন, এ নদীগর্বে বিলিন হয়ে গেছে ৫/৬টি গ্রামের শতশত পরিবারের বসত ভিটা এককালে এসব পরিবারে ছিল গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ আর গোলা ভরা ধান। খরশ্রোতা রাক্ষুসে এ রেজু নদী হাজার হাজার পরিবারকে পথে বসালেও সরকার কোন প্রকার সাহায্যের হাত বাড়াইনি। আরেক ভুক্তভোগী পরিবার কামাল উদ্দিন (৩৫) বলেন, সব কিছু হারিয়ে বন বিভাগের জায়গায় একটি কুড়ে ঘর বেধে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দুবেলা দুমোঠো পেট পুরে খাওয়া ইচ্ছা পোষন করলেও তা হচ্ছেনা। স্থানীয় বন বিভাগের কতিপয় কর্মচারী টাকার জন্য হাত বাড়িয়ে থাকে। নইলে বসত বাড়ি উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। এভাবে শতশত পরিবার অভাব অনটনে বিনীদ্র দিন কাটালেও দেখার কেউ নেই।
তৎকালীন সরকার রেজুখালের ভাঙ্গন থেকে ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য এলজিইডির মাধ্যমে রেজুখালের মোহনায় একটি কাঠের কুটি দিয়ে স্পার্ক নির্মান করলেও এক মৌসুমে উক্ত স্পার্কের অস্থিত্ব বিলিন হয়ে যায়। স্থানীয় সমাজ সেবক জমির আহাম্মদ বলেন, রেজুখালের ভাঙ্গনের মুখে আরো শতাধিক পরিবার রয়েছে। যে সব পরিবার গুলো আগামী বর্ষা মৌসুমে বাস করার সুযোগ পায় কিনা তা প্রকৃতির ব্যাপার।
জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, রেজুখালের ভাঙ্গন রক্ষার জন্য ইতিপূর্বে কয়েক বার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। রেজুখালের ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে হলে সেখানে প্রায় ১ হাজার মিটার দীর্ঘ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গাইড ওয়াল নির্মান করতে হবে। তা না হলে রেজুখালের ভাঙ্গন অব্যাহত থাকবে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিল্লোল বিশ্বাস জানান, ভাঙ্গন প্রতিরোধকল্পে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট পরিপত্র প্রেরন করা হয়েছে। কার্যাদেশের অনুমতি পাওয়া গেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।