কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রতিবেশীর প্রতিহিংসার আগুন থেকে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেল ৩ মেয়ে সহ বিধবা রশিদা বেগম (৫৫)। সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের চাকবৈঠা গ্রামের প্রতিবেশীর সন্ত্রাসী ইসমাইলের দেওয়া আগুনে খড়ের স্তুপ পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে গ্রামের শতশত লোক এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় ঘর বাড়ি পুঁড়ে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অসহায় দরিদ্র বিধবা পরিবারটি।
মঙ্গলবার চাকবৈঠা গ্রামের ছালেহ আহাম্মদ (৬০), মোহাম্মদ আলী (৫০), জরিনা খাতুন (৪৫) সহ অসংখ্য গ্রামবাসী জানান, গ্রামের সোলতান আহাম্মদের সাথে মৃত শহর আলীর পরিবারের মাঝে সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার সন্ধায় সোলতান আহাম্মদের সন্ত্রাসী ছেলে মোঃ ইসমাইল, স্ত্রী নুর নাহার, মেয়ে রাবেয়া সহ আরো কয়েকজন প্রতিবেশী রশিদা বেগম ও তার মেয়েদের উপর মারধর করে নির্যাতন চালায় এবং ভিটা থেকে পুঁড়িয়ে মেরে উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়। সোমবার দিবাগত রাতে বিধবা রশিদা বেগম (৫৫) তার পিতৃহীন মেয়ে মনোয়ারা বেগম (২০), বাজেকা বেগম (১৮) ও ইয়াছমিন আক্তার (১৫) কে পুঁড়িয়ে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা তাদের ঘর সংলগ্ন গবাদি পশুর খাবারের খঁড়ের স্তুপে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাগ্যক্রমে এলাকাবাসী আগুনের লেলিহান শিখা দেখে এগিয়ে এসে আপ্রাণ চেষ্টা করেও খড়ের স্তুপ রক্ষা করতে না পারলেও বসত ঘর, গবাদি পশু ও অন্যান্য সম্পদ রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে বলে বিধবা রশিদা বেগমের অসহায় মেয়েরা জানান।
বিধবা রশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী শহর আলী ২ মাস পূর্বে মারা যাওয়ার পর এখনো আমাদের সংসারে শোকের ছায়া বয়ে চলেছে। কিন্তু জঘন্য সন্ত্রাসী আমাদের সেই শোককেও আমলে না নিয়ে পশুর মত নির্বিচারে আমাদেরকে পুঁড়িয়ে মারার জন্য আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা এমনি অসহায় স্থানীয় ভাবে শালিস বিচারে বা আইনের আশ্রয় নেওয়ার সামর্থ্যও নেই। রাজাপালং ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মীর সাহেদুল ইসলাম প্রতিবেশীর প্রতিহিংসার আগুনে বিধবার ঘরে ও খড়ের স্তুপে আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা দাবী জানান। উখিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলে দাবী করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।