উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সম্মুখে, রাস্তার মোড়ে বখাটে যুবক ও ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলস্বরুপ স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীরা ইভটিজারদের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এছাড়াও উঠতি বয়সী রোমিওদের কোনভাবেই থামাতে না পারায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্পটে বখাটে ইভটিজারদের বিচরণ দেখা যায়। উপজেলার বঙ্গমাতা কলেজ রোড়, উখিয়া সদরের টমটম ষ্টেশন, কোটবাজার চৌরাস্তার মোড়, পালং স্কুল রোড়, শহীদ এটিএম জাফর আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী ভালুকিয়া রোড, মরিচ্যা সিএনজি ষ্টেশন মোড়, মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী সড়ক, সোনারপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় বখাটে যুবক ও ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য আশংকাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও কুতুপালং, থাইংখালী, পালংখালী, বালুখালীরর বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এবং স্কুল-কলেজের সম্মুখেই মুলত বখাটেদের অবস্থান করতে দেখা গেছে । সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুই বখাটেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এক শ্রেণীর বখাটে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্পটে রোমিও সেজে রাস্তায় আড্ডা দিচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ শুরু ও ছুটির পর এবং ছাত্রীরা প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় উঠতি বয়সের সরল-সহজ মেয়েরা ইভটিজারদের সম্মুখে পড়লে বিভিন্ন প্রলোভন ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদেরকে হয়রানি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও সুযোগ বুঝে স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রীদের অশালীন উক্তি ছুঁড়ে দিচ্ছে বখাটেরা। এসব অশালীন উক্তি স্কুল কলেজগামী ছাত্রীরা নিরবে সহ্য করে গন্তব্য স্থানে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে তারা মানুষের সাথে দৃর্ব্যবহার করে থাকে বলে জানান সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, সাম্প্রতিক কালে বখাটে ইভটিজারদের উৎপাত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্তানদের স্কুল – কলেজে পাঠাতে এক ধরনের ভীতি কাজ করছে।
পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়য়ের শিক্ষক খাইরুল বশর বলেন, স্কুল শুরু ও ছুটির পর রাস্তার মোড়ে বখাটে যুবক ও ইভটিজারদের বিচরণ দেখা যায়। অনেক শিক্ষার্থী ইভটিজিংয়ের শিকার হলে ও লাজলজ্জার ভয়ে প্রকাশ করে না।
স্কুল-কলেজের সম্মুখে, রাস্তার মোড় গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হলে ইভটিজিংকারীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে দাবী সচেতন মহলের।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।