উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত সুস্বাদু রসালো ফল বাঙ্গিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে হাটবাজার। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাঙ্গির ফলন আশাতীত ভাবে বৃদ্ধি পেলেও কৃষকের মনে খুশি নেই। কৃষকেরা বলছে, পাইকারী ব্যবসায়ী বাজারে না আসার কারণে বাঙ্গির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা তারা। এখানে বড় সাইজের একেকটি বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দরে। দামে কম হওয়ায় নিু ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন স্বাচ্ছন্দে বাঙ্গির স্বাদ নিতে পারছে বলে অনেকেই মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাড়ে ৪শ’ একর বাঙ্গি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কৃষকেরা বলছে, তরমুজ বাঙ্গিতে মিলে প্রায় সাড়ে ৮শ’ একর জমিতে বাঙ্গিতে ও তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার ফলনও হয়েছে তুলনামূলক ভাবে ভাল। মাদারবনিয়া গ্রামের কৃষক আলতাজ আহমদ জানান, হরতাল অবরোধের কারণে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার পাইকারী ব্যবসায়ীরা গ্রামগঞ্জে আসতে না পারায় তাদের উৎপাদিত বাঙ্গি স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে খুচরা বিক্রি করতে হয়েছে। যে কারণে বাঙ্গির ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না। একই গ্রামের আরেক বাঙ্গি চাষী নজুমিয়া জানান, বাঙ্গির ফলন ভাল হওয়ার কারণে ন্যায্য মূল্য পাওয়া না গেলেও লোকসানের মুখে পড়তে হয়নি।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, শুধু চরাঞ্চল থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বাঙ্গি-তরমুজ খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে। উখিয়ার ভাসমান বাঙ্গির হাটবাজার ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে যে বাঙ্গি দেড়শ টাকায় বিক্রি হয়েছে একই বাঙ্গি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দরে বাঙ্গি বিক্রির সুবাদে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হলেও সবশ্রেণির পেশার মানুষ কম দামে বাঙ্গি কিনতে পেরে খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, আশাতীত বৃষ্টি না হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তরমুজ-বাঙ্গির বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণের পরেও উৎপাদিত বাঙ্গি তরমুজ জেলার বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হচ্ছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।