উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে ভূঁয়া জন্মসনদের ছড়াছড়ি পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ বিতরণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ইদানিং উখিয়ার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসব ভূঁয়া জন্ম সনদ তৈরি করে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ভূঁয়া জন্ম সনদ নিয়ে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত চরম বেকায়দায় পড়তে দেখা গেছে।
জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক চেমন বাহার অভিযোগ করে জানান, ৫ম শ্রেণির পিএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রদত্ত একাধিক জন্ম সনদের সীল থাকলে স্বাক্ষর নাই আবার স্বাক্ষর থাকলে সীল নাই। তিনি বলেন, এসমস্ত জন্ম সনদ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কিভাবে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছে। জালিয়াপালং ইউনিয়নের মাদারবনিয়া গ্রামের শাবনুর আকতার, পিতা- আব্দু ছালাম, মাতা- ছমুদা বেগম নামের একটি জন্ম সনদে স্বাক্ষরের নিচে ১/০৮/২০১০ লেখা থাকলেও ওই স্বাক্ষরের উপরে কোন স্থানীয় চেয়ারম্যান বা সচিবের সীল না থাকার বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী জানান, স্বাক্ষর করার পরে সচিবের কাছ থেকে সীল নিয়ে নিতে হয়। হয়তো অজ্ঞাত কারণে জন্ম সনদে তার স্বাক্ষর নিয়ে চলে গেছে এমনও হতে পারে। তিনি বলেন, তার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার অনৈতিক ভাবে জন্ম সনদ দেওয়া হয় না।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।