উখিয়ার কোটবাজারে রত্নপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায়গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় দুই সাংবাদিক। এরা হলেন জসিম আজাদ ও শরীফ আজাদ। পরে সহকর্মীরা হামলার শিকারসাংবাদিকদের উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারপ্রেরণ করেন।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উখিয়ার কোটবাজার স্টেশনে রিপোটার্স ইউনিটির অফিসের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদার পুত্র তাহসিনের নেতৃত্বে দুই সহোদর সাংবাদিকদের উপরদেশীয় অস্ত্রধারী ৩০/৩২ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। অই যুবকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত হন শরীফআজাদ ও জসিম আজাদ। হামলার সময় তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়, ছিড়ে ফেলা হয় পড়নের কাপড়। এ ঘটনায়জসিম আজাদ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেছে।
আহত সাংবাদিক শরীফ আজাদ বলেন,” আমি ও আমার ভাই আমাদের রিপোটার্স ইউনিটির অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম।অতর্কিত অবস্থায় চেয়ারম্যান পুত্র ও তার সাথে থাকা সাবেক মেম্বার নুরুল হক মনুর দুই পুত্রসহ ৭/৮ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসীআমাদের উপর হামলা করে, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।”
শরীফ বলেন,” স্থানীয় জনগণ ও সংবাদকর্মীর্মা মৃত্যুর মুখ থেকে আমাদের কে উদ্ধার করে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমে এসে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে ঘটনাস্থলেপুলিশ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতেকাজ করছে পুলিশ।
এদিকে, ঘটনার পরপরই উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত হন। পাশাপাশি কক্সবাজারশহর থেকে রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওসমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটেআসেন।
রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন,” এঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদজানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।
উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিক আজাদ বলেন, চেয়ারম্যান নুরুল হুদার ছেলে তাহসিনুল হুদা নেতৃত্বে ১০/১২জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে তার ক্লাবের দুইজন সংবাদকর্মীকে গুরুতর আহত করার তীব্র নিন্দাজানিয়েছেন। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনা না হলে পরবর্তীতে কর্মসূচী ঘোষণাকরা হবে বলে জানান।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতিনিয়ন্ত্রণে আনি। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াহবে।
প্রসঙ্গত, আহত সাংবাদিক শরীফ আজাদ রিপোর্টাস ইউনিটি উখিয়ার সভাপতি, উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য ওগণমাধ্যম চট্টগ্রাম ২৪ এর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং জসিম আজাদ দৈনিক ভোরের কাগজের উখিয়া প্রতিনিধি ও উখিয়াঅনলাইন প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।