২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়

উখিয়ায় ১০৫ ভূমিহীন দুস্থ পরিবার পাচ্ছে মাথা গুজার ঠাঁই

UKHIYA PIC 05.04.2015(2)
কোন দাতা সংস্থা বা এনজিও’র অর্থায়নে নয়, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দৈনিক আয়কৃত অর্থের এক-তৃতীয়াংশ টাকা সঞ্চয়ের মাধ্যমে ওরা ৫০টি সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিরল দৃষ্টান্তটি স্থাপন করেছে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের মাছকারিয়া ভূমিহীন সমিতি লিঃ এর হতদরিদ্র ভূমিহীন ১০৫টি পরিবার। তাদের অনুসরণ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য এলাকায় এখন সমিতি গঠনের হিড়িক পড়েছে।
সরেজমিন প্রত্যন্ত জনপদ মাছকারিয়া ঘুরে ভূমিহীন সমিতি লিমিটেডের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই গ্রামের ৯৮ শতাংশ পরিবার ভূমিহীন, হতদরিদ্র। কর্মসংস্থান বলতে লাকড়ি বিক্রি, কৃষি শ্রমিক ও হোটেল রেস্টুরেন্টসহ রিক্সা ঠেলাগাড়ী চালিয়ে এরা জীবন ধারণ করে আসছিল যুগযুগ ধরে। সমিতির একজন মহিলা সদস্য রমজান আলীর স্ত্রী লায়লা বেগম(৪০) জানান, ৫টি ছেলে মেয়ে নিয়ে অন্যের বসতবাড়ির আঙ্গিনায় বসবাস করতে করতে বনবিভাগের পতিত জমিতে ঝুঁপড়ি বেঁধে অমানবিক জীবন যাপন করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। সঞ্চয়ী আমানতের টাকায় একটি মাথা গুজার ঠাই পেয়ে আমরা খুশি। সমিতির আরেক মহিলা সদস্য সাজেদা বেগম (৩৫) জানান, নিজের কোন বসতবাড়ি না থাকায় ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করাতে পারিনি। এবার নিজের ঘরে বসবাস করতে পেরে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর চিন্তা ভাবনা করছি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জানায়, সমিতির ১০৫ জন সদস্য প্রতিমাসে দেড় হাজার টাকা করে জমা দেয়। ২০১১ সাল থেকে ওই টাকা সুদে আসলে বেড়ে ৪ বছরে এক সদস্যের বিপরীতে ৭২ হাজার টাকা মূলধূন হয়েছে। ওই টাকায় একটি পরিবারের জন্য একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করতে ৬২ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হযেছে। ক্রমান্বয়ে ১০৫ জন সদস্যের জন্য ১০৫টি বসতবাড়ি নির্মাণ করা হবে। সমিতির সভাপতি আব্দু শুক্কুর জানান, বনবিভাগের পরিত্যক্ত এ ভূমিতে হিংস্র জীবজন্তুর সাথে জীবনবাজি রেখে ১০৫টি হতদরিদ্র পরিবার ঝুঁপড়ি বেধে কুড়ে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বদন্যতায় তারা আজ থাকা, খাওয়ার নিরাপদ আশ্রয়স্থলটি পেয়ে অত্যন্ত খুশি। স্থানীয় ইউপি সদস্য গফুর মেম্বার জানায়, ১০৫টি পরিবারের সমিতি গঠনের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসতে দেখে গ্রামের অনেকেই এখন সমিতি গঠন করে টাকা জমা করছে। তিনি বলেন, যেভাবে হতদরিদ্রপরিবার গুলোর মধ্যে উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে এভাবে চলতে থাকলে এ ইউনিয়নে কেউ গৃহহীন থাকবে না। রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, হতদরিদ্র পরিবার গুলোর জির্ণশির্ণ কুড়ে ঘর, অপরিকল্পিত বসবাস দেখে ওই ভূমিহীনদের আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে। তারা নিজ উদ্যোগে বসতবাড়ি নির্মাণ করছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।