কক্সবাজারের উখিয়ায় বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকরা এখানো পিছিয়ে রয়েছে। নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে হস্তাারে সংকটের অবসান হয়নি। কৃষি প্রযুক্তি কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মত উদ্যোগ সংশি¬ষ্ট দপ্তর এখনো নেয়নি। ফলে এখানকার কৃষিক্ষেত্রে গতিশীলতা আসছেনা।
উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে দূর্গম যাতায়তে আবাসন সংকটের অজুহাতে অনেক ব¬ক সুপার ভাইজার (বি.এস) নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেনা এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। জানা গেছে, উখিয়া উপজেলায় ১৫ হাজার ৩ শত ২৫টি কৃষি পরিবার রয়েছে। প্রতি এক হাজার কৃষক পরিবারের জন্য একজন করে ব্ল¬ক সুপার ভাইজার (বি.এস) নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও উখিয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে বিএস নিয়োগ বন্ধ থাকায় কৃষি বিভাগের বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের টার্গেট নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের পরিসংখ্যান এবং তথ্য উপাত্ত সংগৃহীত হয় অনেকটা কল্পনা নির্ভর করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্ল¬ক সুপার জানান, জালিয়া পালং, হলদিয়া পালং ও পালংখালী ইউনিয়নে যাতায়ত সমস্যার কারণে আবাসন সুবিধা ছাড়া বিএসরা কর্মস্থলে স্বাচ্ছন্দবোধ করেনা। যোগাযোগ সুবিধা সম্পন্ন এলাকায় কৃষকরা বিএসদের পরামর্শ পেলেও প্রত্যা ইউনিয়ন গুলোতে এ পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। জালিয়া পালং ইউনিয়নের ছোয়াংখালী, মনখালী, মাদারবনিয়া এলাকার অনেক কৃষক অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তারা বাপ দাদা আমলের চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করে চাষাবাদ করে থাকে। ব্ল¬ক সুপার ভাইজাররা মাসে একবার ও এসব এলাকায় যায় ন্।া অনেকেই ব্ল¬ক সুপার ভাইজারদের চেনে না। তাদের অভিমত বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল কৃষকরা পেলে উখিয়া উপজেলা খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন হিসাবে সারাদেশে দৃষ্টাা স্থাপন করবে। স্থানীয়রা কৃষকরা জানান, উর্ধতন কৃষি অধিদপ্তর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আারিকতা ও সদিচ্ছা থাকলে এ উপজেলার কৃষকদের সমস্যা নিরসনে আরায় হিসাবে কাজ করবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।