১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

উখিয়ায় ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসলহানির আশংকা

SAMSUNG CAMERA PICTURES
উখিয়ার খাল-বিল, জলাশয়-পুকুর-জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সর্বত্র বিরাজ করছে পানির জন্য হাহাকার। বাসাবাড়ির টিউবওয়েলে পানি না থাকার কারণে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় কাঙ্খিত বৃষ্টি না হলে ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসল হানির আশংকা করছে কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, সময়মতো বৃষ্টি হলে লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদন সম্ভব হবে।
গতকাল সোমবার রাজাপালং ইউনিয়নের সিকদারবিল এলাকাঘুরে দেখা যায়, পানির অভাবে বোরো জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বোরো চাষাবাদে গরু-ছাগল লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষক ডা. শাহ আলম, প্রবাসী শামশুল আলম জানান, বোরো চাষাবাদে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সেচ পাম্প স্থাপন করেও কোন কাজ হচ্ছে না। পানি সংকটের কারণে বোরো চাষাবাদ ছেড়ে দিয়ে গরু-ছাগল দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। এভাবে হরিণমারা, দরগাহপালং, দোছরী, ডেইলপাড়া, গয়ালমারা, করইবনিয়া, রতœাপালং, পাতাবাড়ি, থিমছড়ি, আমতলী, ভালুকিয়া, তুলাতলী, গোয়ালিয়াপালং প্রভৃতি এলাকায় প্রচন্ড খরায় ধান ক্ষেত্র জ্বলে পুড়ে লাল বর্ণ হয়ে যেতে দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৮ শত ৬৭ টি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর সেচ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছিল বোরো চাষাবাদে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু পানির স্তর অস্বাভাবিক ভাবে নিচে নেমে যাওয়ার ফলে ওই সেচ যন্ত্রগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বাসাবাড়ির ব্যবহার্য্য নলকূপগুলোতে পানি সংকটের সৃষ্টি য়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কিছু কিছু গভীর নলকূপে পানি থাকলেও মারাত্মক লোডশেডিংয়ের কারণে তারাও নিয়মিত চাষাবাদে চাহিদামত পানি দিতে পারছেনা। পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম নুর হোসেন লোডশেডিংয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চাহিদামত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারণে রাতের বেলায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, অনাবৃষ্টির ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও সময়মতো বৃষ্টি হলে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোরো চাষাবাদ সংরক্ষণ ও তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।