এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া: চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের মাঝপয়েন্টে মাছ আহরণের জন্য স্থানীয় একটি চক্র শুক্রবার রাতে পরিকল্পিতভাবে ঢেমুশিয়া ৫ ব্যান স্লুইচ গেইটটি আটকিয়ে পানি চলাচল বন্ধ দেন। এ ঘটনার পর স্ল্ইুচ গেইট দিয়ে পানি চলাচল ব্যহৃত হবার কারণে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হতে শুরু করে উপজেলার উপকুলীয় সাত ইউনিয়নের বিস্তর্ৃীণ জনপদ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শনিবার বিকালে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। পরে তিনি স্লুইচ গেইটটি খুলে দিয়ে মাছ আহরণে নীতিমালা ভঙ্গ করায় সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে সর্তক করে দেন। একই সঙ্গে তিনি সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ জব্দ করেন।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। তিনি বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও বন্যার সময় ইজারার নীতিমালা বহির্ভূতভাবে জাল দিয়ে মাছ আহরণ করছিলেন। সেই কারনে স্লুইচ গেইট দিয়ে পানি চলাচল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে সর্তক করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ এতিমখানা বিতরণের জন্য বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে একইদিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে চকরিয়া বদরখালী বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। ওইসময় সরকারি লাইসেন্স ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করার অপরাধে বাজারের সততা ক্রোকারিজ ও দিলুয়ারা ক্রোকারিজ নামের দুইটি দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, অভিযানের সময় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বদরখালী বাজারে লাইসেন্স বিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের ৩ দিনের মধ্যে জ্বালানি দপ্তর থেকে লাইসেন্স নেওয়ার নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগ লাগবে বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।