বিশেষ প্রতিনিধি: মিয়ানমার সেনা বাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া-টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্প ছাড়াও নিকটবর্তী বনভূমিসহ লাগোয়া জনপদে। আশ্রয় নেওয়া অধিকাংশ রোহিঙ্গা সড়ক ও পাহাড়ি পথ দিয়ে শহর ও গ্রামীণ এলাকাগুলোতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
গত ১ সপ্তাহে অন্তত ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা রামু থানাস্থ তুলাবাগান হাইওয়ে পুলিশ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে পূর্বে আসা রোহিঙ্গা আত্বীয়দের কাছে। আর ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আটক করতে মাঠে তুলাবাগান হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন। কক্সবাজার-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় তুলাবাগান হাইওয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত এক সপ্তাহে অন্তত ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে। পরে তাদেরকে উখিয়াস্থ কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ অবধি ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওসি মুজাহিদুল ইসলাম এর নেত্বতে পুলিশ ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে তুলাবাগান হাইওয়ে পুলিশের (ইনচার্জ) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অন্তত ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কয়েকদিন আগেই থেকে বিভিন্ন গ্রাম আশ্রয় নেয় এবং গাড়ি দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ওইসব রোহিঙ্গা সড়ক হয়ে চলে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে গাড়িতে করে আটক উখিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের উদ্দেশে পুলিশ প্রহরায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আর কোথাও কোন রোহিঙ্গা লুকিয়ে আছে কিনা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।