২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

এখনও জামায়াত আতঙ্ক

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিনের ঘটনা সেটি। ওই দিন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল চার পুলিশ সদস্যকে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত তাণ্ডবে এক সুন্দরগঞ্জেই নিহত হয়েছিলেন ১০ জন।

 

চার পুলিশ সদস্যকে যেখানে হত্যা করা হয়েছিল, সরেজমিন সেই বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ি ঘুরে কিছুদূর এগিয়ে আসতেই সমকালের সুন্দরগঞ্জ সংবাদদাতা এ মান্নান আকন্দ আকস্মিক একটি তথ্য জানালেন। যে তথ্যে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গাসহ সংলগ্ন এলাকায় জামায়াতের রাজনীতি বিস্তারের একটি কারণ জানা গেল। বামনডাঙ্গা, খানাবাড়ি, রামভদ্র, শিবরাম, দক্ষিণ শিবরাম, মন্মথ, পূর্ব মন্মথ, বাছহাটি ও রাজবাড়ি ইত্যাদি গ্রামের প্রায় প্রতি বাড়িতে রয়েছে মুরগির খামার। জামায়াতে ইসলামী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে খামারের জন্য অর্থায়ন করেছে সেখানে। ওই গ্রামগুলোর একটি শিবরামের বাসিন্দা হলেন জামায়াতে ইসলামীর সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার আমির ইউনুস আলী।
তার নিকটাত্মীয় ফরিদ মিয়া হাজি জামায়াতের খামারি গড়ার মূল কারিগর ও অর্থ জোগানদাতাদের প্রধান। ২০০৭ সালে বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায়, তখন এই ফরিদ মিয়া সারাদেশে শ্রেষ্ঠ খামারির পুরস্কার পেয়েছিলেন। বর্তমানে অবশ্য জামায়াতের এই আমির ও অর্থদাতা দু’জনই জেলে। জেলে আছেন ইউনুসের দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম এবং ফরিদের ছেলে জহুরুল ইসলামও। জহুরুল আবার সর্বানন্দ ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার ছিলেন, যে ওয়ার্ডে বর্তমান মেম্বার তারই ভাই।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে সুন্দরগঞ্জে চলেছে জামায়াতি তাণ্ডব। ওই সব ঘটনায় মামলার সংখ্যা ৪৫। এজাহারনামীয় আসামি দেড় হাজারের বেশি। বেনামি আসামি প্রায় ৭৫ হাজার। এ পরিস্থিতির মধ্যেও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত-সমর্থিত মাজেদুর রহমান। ওই নির্বাচনে ফুলছড়িতে আওয়ামী লীগ, গোবিন্দগঞ্জে বিএনপি ও সাঘাটায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জে জামায়াত। সাদুল্যাপুরের চেয়ারম্যানকে বিএনপি নিজেদের প্রার্থী বলে দাবি করলেও জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে তাকেও জামায়াতদলীয় চেয়ারম্যান বলা হয়েছে।
অবশ্য সাইদুর রহমান মুন্সী নামের সাদুল্যাপুরের ওই চেয়ারম্যান সমকালের সঙ্গে আলাপে জানান, বিএনপির সমর্থনে উপজেলা নির্বাচন করেছিলেন তিনি। তবে কখনও সেভাবে কোনো দল করেননি। তার দাবি, বিএনপির সমর্থনে নির্বাচন করলেও সরকারি দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক ভালো, তিনি সব সময় সরকারপন্থি। জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে তাকে জামায়াতের চেয়ারম্যান দাবি করা হয়েছে কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার কারণে মানুষ তাকে ‘মুন্সি’ উপাধি দিয়েছে এবং এই উপাধি ব্যবহার করেন বলে অনেকেই তাকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ভাবেন। অভিযোগ রয়েছে, এই চেয়ারম্যানের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হলেন সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার খান বিপ্লব। অথচ কাদের মোল্লার ফাঁসির পরদিন ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিপ্লব জামায়াতিদের হাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তার শরীরে ১১৬টি সেলাই লেগেছিল। ওই হামলার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুরের শ্যালক শিবিরনেতা শাহাবুল ইসলাম কাজল। সাইদুর নিজেও এজাহারনামীয় ৫৬ আসামির একজন। অবশ্য সাইদুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছেন শাহরিয়ার খান বিপ্লব। তাদের দু’জনকে একসঙ্গে গাড়িতে ঘোরাফেরা এবং সভা-সমাবেশ ও আড্ডায় দেখা যায় এমনটা জানতে চাওয়া হলে বিপ্লব বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাকে সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাকা হয়ে থাকে। তখন পাশাপাশি বসতে হয়। তাই বলে সামাজিক কোনো আড্ডা হওয়ার সুযোগ নেই। তবে ঘটনাচক্রে এক-আধবার এক গাড়িতে যাওয়া-আসার ঘটনা ঘটেছে।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গাইবান্ধা জেলার সর্বত্রই জামায়াতে ইসলামী নামে-বেনামে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। সর্বত্রই তারা সরকারি দলের কোনো না কোনো নেতার আনুকূল্য নিয়ে নিজেদের রক্ষা করছেন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে গাইবান্ধা জেলায় আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে বলা চলে। সাতটি উপজেলার মধ্যে তিনটিতে জামায়াতে ইসলামী চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছে। অথচ এর আগে ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাত উপজেলার কোথাও বিজয়ী হতে পারেননি এই দলটির কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী।
কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ বলেন, ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের বিজয়ী হতে না পারা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা যাবে না। কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় এই নেতা একই সঙ্গে গাইবান্ধা জেলারও সভাপতি। তার মতে, সারাদেশের সঙ্গে গাইবান্ধার রাজনীতির গুণগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। সত্তরের নির্বাচনে সারাদেশে আওয়ামী লীগের জয়জয়কারের মধ্যেও গাইবান্ধায় মৌলবাদীরা ভালো ভোট পেয়েছিল। তবে সত্তর ও তিয়াত্তরের সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সব আসন ছিল আওয়ামী লীগের। এমনকি, ১৯৭৯ সালে জিয়ার সামরিক শাসনামলেও গাইবান্ধা সদরে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল। অবশ্য ১৯৭৯ সালের ওই নির্বাচন থেকেই গাইবান্ধায় জামায়াতের রাজনীতির অঙ্কুরোদ্গম হতে শুরু করে, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জামায়াতের রেজাউল আলম খন্দকার বিজয়ী হন। মুসলিম লীগ প্রার্থী হিসেবে তাকে বিজয়ী দেখানো হলেও তিনি ছিলেন সেই সময়ে নিষিদ্ধ জামায়াতের প্রকাশ্য সংগঠন আইডিএলের প্রার্থী। মাঝে দীর্ঘ সময় জেলাটি জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল।
দল ক্ষমতায় থাকার পরও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা টের পাওয়া যায়- খোদ দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও অকপটে তা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, জেলার নেতারা দুই ভাগে বিভক্ত। বিভক্তিটা রয়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে থেকে। ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বরের প্রায় ১১ বছর পর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালের ১২ মার্চ। ২০০৫ সালে হওয়া সম্মেলনের এক বছর না যেতেই ২০০৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জেলা সভাপতি মোহাম্মদ খালেদ মারা যান। এরপর জেলা কমিটির তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক সৈয়দ শামস-উল আলম হীরুকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিন বছরমেয়াদি ওই কমিটি ১১ বছর পার করে যে সম্মেলন করে, তাতে সৈয়দ শামস-উল আলম হীরু সভাপতি এবং আবু বকর সিদ্দিক পুনর্বার সাধারণ সম্পাদক হন।
আওয়ামী লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক অবশ্য নেতাদের মধ্যে বিভক্তি থাকার কথা মানতে নারাজ। দুই যুগ ধরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা সমকালের সঙ্গে আলাপে বলেন, বড় দলে অনেক নেতাকর্মী থাকে। তাদের মধ্যে মতপার্থক্যও থাকে। তার দাবি, গাইবান্ধায় সবসময়ই ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এগিয়ে ছিল। তার কাছে নব্বইয়ের দশকে সংসদ নির্বাচনগুলোতে জাতীয় পার্টির বিজয় এবং পরে আবার জেলাজুড়ে জামায়াতের উত্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির বিজয়ের পেছনে ছিল এরশাদের আঞ্চলিকতা। বৃহত্তর রংপুরের সর্বত্রই তখন এরশাদের জন্য মায়াকান্না শুরু হয়েছিল। জামায়াত এসেছিল মানুষের অর্থনৈতিক অসচ্ছলতাকে পুঁজি করে। তবে জামায়াতিদের তাণ্ডব এবং ওই তাণ্ডবে বিএনপির অংশগ্রহণ তাদের জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য করেছে। ফলে গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের অবস্থা এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো।
আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মারুফ মনা অবশ্য এমনটা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির দুর্বলতার কারণে গাইবান্ধায় জামায়াত বিস্তৃত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির সবচেয়ে বড় দল আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্তি খুবই স্পষ্ট। যার প্রমাণ মিলেছে সর্বশেষ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে। আওয়ামী লীগ তাদের জেলা সভাপতি সৈয়দ শামস-উল আলম হীরুকে সমর্থন দিলেও তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মণ্ডল। প্রার্থী ছিল জাসদেরও। আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী মিলে ৬৮৮ ভোট এবং জাসদের প্রার্থী পেয়েছিলেন ৪২ ভোট। বিজয়ী চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার পেয়েছেন ৩৮৮ ভোট। তাকে জাতীয় পার্টির লোক বলা হলেও এর আগে জেলার রাজনীতিতে তেমন একটা পরিচিতি ছিল না সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউরের। জাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে জাসদের সঙ্গেও সমঝোতার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সৈয়দ শামস-উল আলম হীরু তার পরাজয়ের জন্য দলের নেতা এবং দল থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘গোবিন্দগঞ্জের এমপি আবুল কালাম আজাদ ছাড়া কাউকে আমি পাশে পাইনি। পতাকাধারীরা বিদ্রোহী প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছেন, জাসদের প্রার্থীকে উৎসাহিত করেছেন এবং জাতীয় পার্টিকে বিজয়ী হতে সহযোগিতা করেছেন।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি আবদুর রশীদ সরকারের দাবি, তারা তাদের দুর্গ পুনরুদ্ধারে নেমেছেন এবং উদ্ধার যে করতে পারছেন তার প্রমাণ জেলা পরিষদের নির্বাচন। সুন্দরগঞ্জের উপনির্বাচনে তা আবার প্রমাণিত হবে। উল্লেখ্য, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন গত ৩১ ডিসেম্বর খুন হওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়। শূন্য ওই আসনে ২২ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ এবং জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারি লড়ছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান খান বাবু বলেন, বিএনপির চেয়ে শক্তিশালী কোনো রাজনৈতিক দল গাইবান্ধায় নেই। সুন্দরগঞ্জ উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীই হয়তো জয়ী হবেন। তবে এটা জাতীয় পার্টির ভোটে নয়, বিএনপি ও জামায়াতের নীরব সমর্থকরাই জাতীয় পার্টিকে জিতিয়ে দেবে। তার মতে, গাইবান্ধা এখন জাতীয় পার্টির তথাকথিত দুর্গ। সরকারি দলের সঙ্গে ওই পার্টির নেতাদের আতাতের কারণে তাদের কর্মী-সমর্থকরা ভিড়ছেন বিএনপির পতাকাতলে। বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতেরও জেলার সর্বত্র শক্ত অবস্থান রয়েছে। তবে আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় হওয়া মামলার কারণে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ঘরবন্দি হয়ে আছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু কাউসার মো. নজরুল ইসলাম ছাড়া জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল কোনো নেতার সঙ্গে কথা বলা গেল না। জেলা জামায়াতের সদস্য এই উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া গেলেও তিনি রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, দল আমাকে চেয়ারম্যান করেছে এবং এই দায়িত্বটাই যথাযথভাবে পালন করতে বলেছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।