হামলায় চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) দুই সদস্য আহত হন। গুরুতর লেফটেন্যান্ট (অব.) সামিউলকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে, সোমবার ও মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজারে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলায় পাঁচজন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ির গ্লাস। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণা চালাতে পঞ্চম দিনের মতো বের হন খালেদা জিয়া। বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে গাড়িবহর নিয়ে বের হন তিনি। বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে তার গাড়িবহর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছায়। এরপর তিনি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও মাহবুব আলম ডিউ। এ ছাড়া রয়েছেন নুরে আরা সাফা, শিরীন সুলতানা, সুলতানা আহমেদ, শ্যামা ওবায়েদসহ বেশ কয়েক নারীনেত্রী।
খালেদার গাড়িবহর বারিধারা, বনানী, কাকলী, ফার্মগেইট হয়ে বাংলামোটরে আসে। এরপর বহরটি হামলার মুখে পড়ে।
শাহবাগে অবস্থানরত দ্য রিপোর্টের অপর এক প্রতিবেদক জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বেরিয়ে এসে একদল যুবক দৌড়ে বাংলামোটরের দিকে যায়। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা ছিল। কিছুক্ষণ পর তারা বাংলামোটর থেকে শাহবাগে ফিরে আসে।
রমনা থানার কর্তব্যরত অফিসার এসআই মুজিবুর দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘‘পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে আমাদের জানানো হয়, ‘আপনারা বাংলামোটরে যান। সেখানে কিছু একটা হয়েছে।’ তবে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে কিনা জানি না। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পুলিশ রওনা হয়েছে।’’
নিজ গাড়িবহরে হামলা প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার বলেন, ‘সোমবার প্রাণনাশের জন্য আমার ওপর গুলি চালানো হয়। আমার গাড়িতে গুলির চিহ্ন রয়েছে।’
এ ছাড়া রাজধানীর ফকিরাপুল মোড়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় কেউ আহত হননি কিংবা কোনো গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।