২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

এমপি বদি ও খন্দকার মাহবুবের ছবি নিয়ে মিথ্যাচারঃ ফেসবুকে তীব্র প্রতিক্রিয়া


উখিয়া-টেকনাফের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও বিশিষ্ট আইনজীবি খন্দকার মাহবুবের সাথে ইনানী সৈকতে তোলা ছবি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও ফেসবুকে মিথ্যাচারের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সাধারন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। গত ২৯ মার্চ উখিয়ার ইনানী সৈকতে হাটাহাটির এক পর্যায়ে এমপি বদির সাথে দেখা হয় সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেন ও তার পরিবারের সাথে। এমপি বদি প্রবীন এই আইনজীবির সাথে কুশল বিনিময়। আর এই সময় কয়েকটি ছবিও তুলেন। কিন্তু সেই ছবি নিয়ে একটি মহল এমপি বদির বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার শুরু করে।
সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন লিখেছেন
“মানুষের মধ্যে কি নূন্যতম সৌজন্যতাবোধ ও থাকবে না? একজন রাজনীতিক আরেকজন রাজনীতিকের এলাকায় এসেছেন দুজনের মধ্যে কথা হলে দোষের কি? সবার জন্ম তো অভদ্র ঘরে হয় না। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ মানে শত্রু নয়।”
আমান উল্লাহ আমান লিখেছেন,
“টেকনাফের রাজনীতিবীদ দিয়ে শুরু হউক দেশের সুন্দর রাজনীতির সংস্কৃতি।
বিএনপির বর্ষিয়ান নেতা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সাথে উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদির সাক্ষাৎকার নিয়ে ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি কেউ কেউ পজেটিভ এবং কেউ কেউ নেগেটিভ ভাবে নিয়েছেন। যারা নেগেটিভ ভাবে নিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে—
রাজনীতি করলে কি কেউ কারো সাথে দেখা করতে নেই। এই সাক্ষাৎটি গণতন্ত্রের জন্য একটি সূখবর নয়কি। আমাদের বড় বড় নেতাদের এই মানসিকতা নেই বলেই তো আজকে দেশের এই কাহিল অবস্থা। আমাদের টেকনাফের রাজনীতিবীদ দিয়ে শুরু হউক দেশের সুন্দর রাজনীতির সংস্কৃতি। যারা পজেটিভ ভাবে নিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আপনারাও উৎসাহিত করুন আপনাদের নেতাদের। সরকারি বা বিরোধী দলের যেই হোকনা কেন। এক টেবিলে বসে আলোচনা করলে সফলতা আর ব্যর্থতা সামনে চলে আসবে।
এতে দেশ এবং জাতী মুক্তি পাবে। গনতন্ত্রের বিজয় হবে।
আসুন আমরা ভেদাভেদ ভূলে দেশে সুন্দর রাজনীতির সংস্কৃতি চর্চা করি।”
হেলাল উদ্দিন লিখেছেন, কাকতালীয় একটা ঘটনাকে একটি চক্র সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে রাজনৈতিক রং দেয়ার। সবশেষ সেই চেষ্টাও ব্যর্থ। আর যাদের জীবনে কোনদিন সফলতা আসেনি তারা সফল মানুষের সব কাজেই দোষ দেখেন। আর নিজেদের দোষ আড়ালের অপচেষ্টা তো আছেই। অনেক চেষ্টা করেছেন উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে বারবার বিতর্কিত করার। কিন্তু সবক্ষেত্রে আপনারা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। আপনাদের তথাকথিত বিতর্ক ওনার চলার পথকে আরো মসৃন করছে। কারন এমপি বদির দুর্বলতা নেই। তাই যতই যা কিছু বলেন, লিখেন সব কিছুতেই কিন্তু লাভবান হচ্ছেন এমপি বদি। “তিলকে তাল করে” স্বার্থ হাসিলের যে চেষ্টা করা হয়েছে তা প্রমানিত। আরেকটা বিষয় প্রমানিত হল কিছু মানুষ আছে যারা এমপি বদির সাথে বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করেন।
পরিশেষে বলবো নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন আপনি যে কাজটা করলেন তার নূন্যতম সত্যতা না থাকা সত্ত্বেও একটি জঘন্য মিথ্যাকে জনগনের সামনে প্রতিষ্ঠিত করার হীন মনমানসিকতা যার আছে সে আর যাই হউক কোন মানুষের শুভাকাঙ্খী হতে পারে না।”
সিরাজুল মোস্তফা নামে একজন লিখেছেন, আজিব তো!!!
সাক্ষাত করা মানেই কি দলবদল করা???
রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে!
তাই বলে কি বিরোধী দলীয় কোনো নেতা/ নেত্রীর সাথে সাক্ষাত করা যাবে না?

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।