সারাদেশে কারিগরি ও মাদ্রাসাসহ মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আজ বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
এবারের পরীক্ষায় ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন ছাত্রী।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ মার্চ।
গতবারের চেয়ে এবারের পরীক্ষায় এক লাখ ৩৫ হাজার ৯০ শিক্ষার্থী বেড়েছে। গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সম্প্রতি সম্মেলন করে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এবার আটটি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫০১ ও এসএসসি ভোকেশনালে (কারিগরি) এক লাখ ৪ হাজার ২১২ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এবার ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে।
এবার এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আগের মতোই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব বা শ্রুতিলেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ মিথ্যা ফাঁস হওয়া প্রশ্নের পিছনে ছুটলে ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হবে না। কেউ ফেসবুকে ভুয়া প্রশ্ন তুলে দিলে বিটিআরসি সঙ্গে সঙ্গে সেই লিংক বন্ধ করে দেবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইলফোন ও ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা কেন্দ্রে নিতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সচিবের ফোন ব্যবহারেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাকে অবশ্যই ছবি তোলা যায় না এমন ফোন ব্যবহার করতে হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।