হ্নীলায় ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত দলের কবলে পড়ে নৃশংস হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
জানা যায়, ৬ জানুয়ারী রাতের প্রহরে টেকনাফের হ্নীলা আল জামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় আল্লামা ইসহাক ফাউন্ডেশন আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনের শেষদিনে আল্লামা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকীর (কুয়াকাটা) ওয়াজ শুনে বাড়ি ফিরছিলেন হ্নীলা পশ্চিম নয়াপাড়ার নবী হোছনের পুত্র ডাম্পার চালক রশিদ উল্লাহ (২৫)। বাড়িতে যাওয়ার পূর্বে স্থানীয় একটি বাঁশ বাগানে একদল স্বশস্ত্র ডাকাত অবস্থান করছিল। এই ডাকাত দল ডাম্পার চালক রশিদ উল্লাহকে ধরে পেট,বুক ও গলায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এক পর্যায়ে পা ও আঙ্গুল কেটে নেওয়ার সময় সজোরে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা জড়ো হয়ে এগিয়ে আসলে ডাকাত দল পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
এরপর আত্নীয়-স্বজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নয়াপাড়া আইএমও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান হতে তাকে দ্রুত কক্সবাজার রেফার করা হয়। কক্সবাজারেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চমেকে রেফার করা হয়েছে। আহতের পারিবারিক সুত্র জানিয়েছে তার অবস্থা আশংকাজনক।
এই ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন, ওয়াজ মাহফিল হতে ফেরার পথে রোহিঙ্গা দূবৃর্ত্ত কর্তৃক স্থানীয় এক ডাম্পার চালক বর্বর ও নৃশংস হামলার শিকার হয়েছে বলে লোকজন হতে শুনেছি। প্রকৃত ঘটনা কি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার বিষয়ে নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের নিকট জানতে চাইলে উক্ত বিষয়ে তারা এখনো অবগত নন বলে জানান।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই আড়াই মাস পূর্বে নয়াপাড়া শালবাগান কেন্দ্রিক স্বশস্ত্র ডাকাত সালমান শাহ গ্রæপের এক সদস্যকে হামলার শিকার রশিদুল্লাহ গং আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দেন। সে ভ্রাম্যমান আদালতে এক মাসের সাজা ভোগের পর আস্তানায় ফিরে আসে। ওয়াজ মাহফিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে রশিদ উল্লাহকে পেয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নৃশংস হামলা চালায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।